সিডনিতে তাপমাত্রার রেকর্ড ৪৫ দশমিক আট ডিগ্রিতে পৌঁছায়

সিডনিতে তাপমাত্রার রেকর্ড ৪৫ দশমিক আট ডিগ্রিতে পৌঁছায়

অনলাইন ডেস্কঃ ২১ নভেম্বর ২০১৫

সিডনিতে তাপমাত্রা রেকর্ড ছুয়েছে৷ শুক্রবার সেখানকার তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক আট ডিগ্রিতে পৌঁছায়৷ এটা স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা৷ গরমের তীব্রতা বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন৷ সিডিনির অ্যাম্বুলেন্স বিষয়ক কর্মকর্তা ইয়ান জনস এই বিষয়ে বলেন, ‘‘জনগণ গরমের তীব্রতাকে অবমূল্যায়ন করছে, আর নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে বেশি মূল্যায়ন করছে৷ বিশেষ করে তরুণ এবং ফিট অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি৷

একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ির মধ্যে থেকে এই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ অস্ট্রেলিয়ায় দুই সপ্তাহের দাবানল বিষয়ক সতর্কতার মাঝেই প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটলো৷ ভিক্টোরিয়ার অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এই প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করেছে৷ এছাড়া গত সপ্তাহে টাসমেনিয়ায় এক উদ্ধারকর্মী মারা গেছেন৷ ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রাণ হারান তিনি।

সিয়াটন এবং হাইফিল্ডের পাঁচটি বাড়িও আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ বার্তাসংস্থা এএপিকে পিটিকা হবসন নামক এক ব্যক্তি তাঁর বাড়ি পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের সন্তানের কাছ থেকে একটি টেক্সট ম্যাসেজ পাই৷ ও আমাদের বাড়ি পুড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে৷”

তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি হারানোর বিষয়টি অত্যন্ত কষ্টের৷ আমি এখন আর সেই বাড়িতে ফিরতে পারবো না, যেখানে আমি বড় হয়েছি৷”

নিউ সাউথ ওয়লসের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক৷ সেখানকার অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষ সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সপ্তাহান্তে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে৷ ইতিমধ্যে কোনাবেরব্রানে ৩৩টি বাড়ি বনের আগুনে পুড়ে গেছে৷ সেখানকার ৯৫টি জায়গায় এখনো আগুন জ্বলছে, যার মধ্যে ১৪টির আগুন নেভানোর কেন উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি৷

উল্লেখ্য, দশ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় দাবানলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল৷ তখন ৫০০ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং প্রাণ হারায় চার ব্যক্তি৷ সেই ঘটনার পর চলতি বছর আবারো অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করছে৷