অনলাইন ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি ২০১৬
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২২ জানুয়ারি। দীর্ঘদিন ভারত সরকারের অন্তরীণ থাকার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন তিনি। মওলানা ভাসানী মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ঢাকার পত্র-পত্রিকায় মওলানা ভাসানীকে নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি শুরু হলে ভারত সরকার তাকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন। তখন তার স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ছিল না। দিল্লী থেকে দেশে ফেরার আগের দিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি তিনি আসামের ফরিদগঞ্জে এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস, পাকিস্তানের বর্বরতা ও ২৩ বছরের শোষণের একটি চিত্র তুলে ধরেছিলেন। পরদিন ২২ জানুয়ারি ভারত সরকারের একটি জিপে করে মেঘালয় থেকে বাংলাদেশের হালুয়াঘাটে পৌঁছেন তিনি। তার সঙ্গে তখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। হালুয়াঘাটে এ মহান নেতাকে মামুলি অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল।
জানতে চাইলে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আক্ষেপের সুরে বাংলামেইলকে বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো প্রাপ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার হাতে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি ব্যর্থ হয়েছে তার রাজনৈতিক দর্শন ব্যবহারকারী বিএনপি, এমনকি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোও।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এক ধাপ এগিয়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে মওলানা ভাসানীর সংক্ষিপ্ত জীবনী বাদ দিয়ে জাতির সাথে চরম প্রতারণা করেছে।’
এদিকে মওলানা ভাসানীর ৪৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
অন্যদিকে ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ২০ দলীয় জোট শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) পক্ষ থেকেও তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে। (সুত্রঃ বাংলামেইল২৪ডটকম)