শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাদের শপথ আওয়ামী-ছাত্রলীগের পোলাপান যে তাদের ছাড়বেনা

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাদের শপথ আওয়ামী-ছাত্রলীগের পোলাপান যে তাদের ছাড়বেনা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ৬ ই নভেম্বর জনসভা

ফজলুল বারী: প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে দীর্ঘদিন ধরে আমি দেশের মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। এখন বিদেশে থাকলেও অনলাইন যুগের কারনে কার্যত দেশের মিডিয়া থেকে দূরে না। দিনেরাতে যতক্ষন জেগে থাকি কম্পিউটার অথবা ফোন হাতে দেশের মিডিয়ার মাধ্যমে মূহুর্তে মূহুর্তে আপডেটগুলো পাই। প্রতিটা শিরোনাম পড়ে বুঝতে পারি এটি কেন কি উদ্দেশে এভাবে লেখা অথবা ডিসপ্লে করা হয়েছে। তিনটি অনলাইনে বেশি ঢু মারি আমি বেশি। প্রথম আলো, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরডটকম এবং মানবজমিন। যুগান্তর, কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি স্টারও পড়ি নিয়মিত। মানজমিন পড়লে বিএনপি-জামায়াতের মনের খবর জানা যায়। পত্রিকাটির সঙ্গে দল দুটির লোকজনের সম্পর্কটিও আত্মার। প্রথম আলো এই সরকারের আমলে নানান চাপের মধ্যে ছিল। সরকারটির পতনে তাই পত্রিকাটি এখন মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে। এই পত্রিকাটির গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র লোকজনকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি জানি বলেই বিষয়টিতে খটকা লাগে।

একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনের রিপোর্ট, তারেক রহমান সহ বিএনপির দুর্নীতিবাজদের রিপোর্ট প্রকাশে প্রথম আলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ইন্টারভ্যু দিয়ে বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-ফাঁসি হয়েছে শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারনে। এখন সেই শেখ হাসিনার সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামাতে পারলে কারা ক্ষমতায় আসবে? শেখ হাসিনার সরকার গনতন্ত্র দেয়নি! সরকারের লোকজন দুর্নীতি করেছে? বিএনপি-জামায়াত যুগ খুব গনতান্ত্রিক ছিলো? এখন প্রতিশোধ নিতে হাওয়া ভবন দুর্নীতির দল বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে? এসব স্ববিরোধিতার জন্যে প্রথম আলোকে একদিন পাঠকদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

ড.কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এদেরকে দীর্ঘদিন কাছে থেকে দেখেছি। অনেক রিপোর্ট করেছি তাদেরকে নিয়ে। এরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিহ্নিত লোকজন। কিন্তু তাদের চোখেমুখের ক্রোধ আজ অবাক হয়ে দেখি। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ফেলবেন? এর বদলে কাদের ক্ষমতায় আনবেন? জনগন দেশের মালিক বলেন মুখে। সামরিক শাসনের ঔরসে জন্ম নেয়া বিএনপি, তাদের দোসর জামায়াতকে সঙ্গ নিয়ে এসব গালগল্প? দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ করবেন? তা তারেক রহমানকে ক্ষমতায় বসিয়ে?

দেশের মানুষজন বাদ দিন, নিজেদের নেতাকর্মীদের এতদিন কি বচন দিয়েছেন মনে আছে? একটা দিক থেকে এই লোকজনের অবশ্য বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করাটা সহজ হয়েছে। তাহলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার ত্রি-সীমানায় এরা ছিলেননা। এখন ধারনা করা চলে এটি তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ। এই ঐক্য হঠাৎ করে একদিনে গড়ে ওঠেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শুরুর দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা সিডনিতে আমাকে বলেছিলেন তারা চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ড.কামালের সাড়া পাননি। আমার তখনো বিষয়টি বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু এটিই আজকের সত্য বাস্তব। এই নেতাদের খুব কাছে থেকে দেখেছিতো। তাই বলি, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করা নেতারা আমার কাছে রাজনীতিতে ব্যর্থ-দিক হারা-হতাশ ব্যক্তি। একজন একজন করে সংক্ষেপে তাদের চেহারা-সুরত ব্যাখ্যার চেষ্টা করবো।

আওয়ামী লীগে থাকতে ড.কামাল ছিলেন অনেক নেতার একজন। তাঁর মূল মনোযোগ ছিল আইন ব্যবসায়। কোর্টের ফাঁকে ফাঁকে বক্তৃতায় ভারী ভারী কথা বলতে ভালোবাসেন। মক্কা তার বরাবর আমেরিকা। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের নেতৃ্ত্ব-কর্তৃ্ত্ব গ্রহনের পর আওয়ামী লীগের ভিতরে থেকে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা হবেনা মনে করে দলটি থেকে কেটে পড়েন। বিশাল আইনজীবী হওয়া স্বত্ত্বেও আমেরিকা আগ্রহী নয় বলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জড়াননি। ড.কামাল যখন গনফোরাম গঠন করেন তখন শহরবাসী নাগরিক রাজনীতিক অনেকে মনে করেছিলেন এ দল বিশেষ কিছু হবে। সিপিবি ভাগ করে সাইফুদ্দিন মানিক, ন্যাপ থেকে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মতো নেতা এখানে এসেছিলেন। কিন্তু গনফোরাম হয়েছে অশ্বডিম্ব। কারন রাজনীতিতে পার্ট টাইমার ড.কামাল একটা দলে অনেক নেতার একজন হতে পারেন। প্রধান নেতা হিসাবে পরীক্ষিত ব্যর্থ।

ঐক্যফ্রন্টে প্রধান নেতা তাকে বলা হলেও তিনি যে আদতে তারেকের কলের পুতুল তা এরমাঝে প্রমানীত। বড় দলের নেতা তারেক লোকবলহীন ড.কামালের নেতৃত্ব মানবেনইবা কেনো। সাবেক ডাকসু ভিপি আ স ম আব্দুর রব এক সময়ের বিশাল ছাত্রনেতা। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের হয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তুলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের বিপ্লবের স্বপ্ন অথবা ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগের মূলধারা বিচ্ছিন্ন হয়ে জাসদ নেতা হন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে প্রথম হতভম্ব হয় জাসদ। পচাত্তরের ৭ নভেম্বর হয় দিকহারা। এরপর জাসদের এক খন্ডের নেতা হিসাবে প্রভাববিহীন এতোটা নাজুক অবস্থায় পড়েন যে একদার বিপ্লবী আ স ম আব্দুর রব হন এরশাদের করুনা প্রার্থী, গৃহপালিত বিরোধীদলের নেতা! এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচদলীয় জোটের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না আমাকে বলেছিলেন এরশাদের কাছ থেকে মাগুর মাছের খামার প্রকল্প নিয়ে আ স ম আব্দুর রব স্বৈরাচারের দোসর হয়েছেন! এখন মান্নার নেতা রব!এরশাদের পতনের পর জনরোষের ভয়ে ব্যারিষ্টার মওদুদ সহ জাতীয় পার্টির নেতারা যেভাবে পালিয়েছিলেন, বিরোধীদলের নেতা আ স ম আব্দুর রবও পালিয়ে যান! বাংলাদেশে অথবা পৃথিবীর ইতিহাসে এমন এর আগে কখনো শোনা যায়নি। একাত্তর টিভির একাত্তর জার্নালে এ কথাটি বলে আক্রোশে পড়েন সাংবাদিক নজরুল কবির।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আ স ম আব্দুর রব এমপি হলে শেখ হাসিনার মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হন। এরপর আবার মন্ত্রিত্ব হারিয়ে হয়ে যান নো হোয়ার। তার অর্থনৈতিক সংকটও চরমে চলছিল। আওয়ামী লীগ তার পথ হচ্ছেনা। পথের খোঁজে তিনি আজ সেই বিএনপির কৃপা প্রার্থী যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া তাকে দন্ড দিয়ে কারগারে পাঠিয়েছিলেন। ছারখার করে দিয়েছেন তার জাসদ স্বপ্ন।

মুক্তিযুদ্ধে আলোচিত হন কাদের সিদ্দিকী। কিন্তু তিনি কখনোই জেনারেল ওসমানী নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কমান্ড মানতে রাজি ছিলেননা। ওই অবস্থায় কিভাবে তাকে নিউজউইকের প্রচ্ছদে নেয়া হয়েছিল তা শুধু ওয়াকিফহালরা জানেন। নিউজউইকের ওই কভারেজ তাকে আলাদা আলোচিত করে। মুক্তিযুদ্ধের পর তার বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। বঙ্গবন্ধুর কাছে আলাদা অস্ত্র সমর্পন কাদেরিয়া বাহিনী। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদ জানাতে ভারতে গিয়েছিলেন। ভারত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। কিন্তু কাদের সিদ্দিকী তেমন সাড়া না ফিরে দেশে ফিরে আসেন। অনেকে জানেন দেশে ফিরে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওয়াকিফহালরা জানেন শেখ হাসিনার বদলে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিও হতেও চেয়েছিলেন। কারন নিজেকে তিনি সবকিছুতে শ্রেষ্ঠ মনে করেন। শেখ হাসিনার অনুজ স্নেহের সুযোগ নিয়ে একবার সোনার বাংলা কন্সট্রাকসন কোম্পানির ব্যানারে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার অনেকগুলো সেতু নির্মানের ঠিকাদারী নেন। কিন্তু এসব সেতুর কাজ না করেই টাকা তুলে নেবার অভিযোগ-জরিমানার জন্যে সমালোচিত হন একাত্তরের এই মুক্তিযোদ্ধা। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ফিরলে এই সেতু দুর্নীতির সমস্যা এড়াতে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হন তিনি। আলাদা রাজনৈতিক দল গঠন করেও তিনি কোন সাড়া ফেলতে পারেননি। অর্থনৈতিক সমস্যায় যুদ্ধাপরাধীদের দিগন্ত টিভিতেও কাজ করেছেন। জামায়াত তাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা দেখাতে তাই কাদের সিদ্দিকীকে দেখায়।

ইসলামী ছাত্রসংঘ ঘুরে জাসদ ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে দু’বার ডাকসু ভিপি হন এক সময়কার হার্টথ্রব ছাত্র নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। এরপর জাসদ নেতা। পচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ছত্রখান হয় জাসদ। ৭ নভেম্বরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিয়ার হাতে গ্রেফতারও হন। এরশাদ বিরোধী আ ন্দোলনের সময় ছিলেন বাসদ মাহবুবের নেতা। ১১ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর অফিসে মিটি মিটি করে বিপ্লবের কথা বলতেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের পর শহীদ জননীর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনেও ছিলেন। বাসদ থেকে বেরিয়ে গঠন করেন জনতা মুক্তি পার্টি। দোকানটি না জমায় আওয়ামী লীগে যোগে দেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও হন। বগুড়ার শিবগঞ্জ আসন থেকে দু’বার নৌকার মাঝিও হয়ে ফেল মারেন। ১/১১’র সামরিক শাসকদের কথায় নাচেন সাবেক ডাকসু ভিপি। শেখ হাসিনাকে হঠাতে গিয়ে নিজেই আওয়ামী লীগ থেকে হটে যান। ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথোপকথনের অডিও ফাঁস হলে গ্রেফতার হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম হয় ভাইবার মান্না। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে জোট করলেও এখন তিনি কামাল হোসেনের সঙ্গে। বগুড়ার শিবগঞ্জ আসন নিশ্চিত করতে কখনো কখনো তিনি বিএনপি মোর দ্যান মির্জা ফখরুল। শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেবেন। শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোন নির্বাচন করতে দেবেননা এমনও বলেছিলেন।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর কি করে ডাকসু ভিপি হন এটি সংলাপে বলেছিলেন শেখ হাসিনা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি ডাকসু ভিপি হলেও কেনো তখন এরশাদের পতন হয়নি এটি ওয়াকিফহালরা জানেন। নৌকায় তিনি কুলাউড়া থেকে একবার এমপিও হন। এর আগে সিলেট শহরে এক হিন্দু বাড়ির তার পরিবারের হয় তা জানেন ওয়াকিফহালরা। ওই বাড়ির মালিকের এক সন্তান এখন ঢাকার এক টেলিভিশনের জনপ্রিয় সাংবাদিক। তিনি আওয়ামী লীগের এমপি থাকতে তার লোকজন নির্বাচনী এলাকাটির খাসিয়া আদিবাসীদের জমি দখল করেন। ক্ষতিগ্রস্ত খাসিয়ারা প্রতিকারের আশায় তখন জনকন্ঠ অফিসে আসে। সুলতান মনসুরকে ফোন করলে তিনি জবাব দেন খাসিয়া ভোট কয়টা? যেদিকে ভোট বেশি সেদিকে আমি থাকবো। এই ছিল একজন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির জবাব! ১/১১’র সময় শেখ হাসিনাকে হঠাতে গিয়ে তিনি হটে যান আওয়ামী লীগ থেকে। এখন তিনি ঐক্যফ্রন্টের নেতা। আগামীতে ধানের শীষে নির্বাচন করবেন। সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় বলেছেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জিয়া ২৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনা করেন এরপর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশের মানুষ। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা এখন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সুলতান মনসুর। যে আসনে তিনি একবার নৌকায় এমপি হয়েছেন সেখানে এবার ভোট করবেন ধানের শীষে।

মান্না-সুলতান মনসুর দু’জনের আসলে শেষ গন্তব্য বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত-হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, তারেকের নেতৃত্ব এসব নিয়ে তারা সূচিবায়ুগ্রস্ত না। এই মোটামুটি এদের শপথ। নানান ভালো ভালো কথায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাদের শপথ শেখ হাসিনা তাদের ছেড়ে কথা বলবেন কেনো? কারন শুধু যুদ্ধাপরাধীদের শূলে চড়িয়ে শেখ হাসিনা এখন ইতিহাসের পাতায় নিজস্ব আসন করে নেননি, বাংলাদেশকেও নিয়ে গেছেন ভিন্ন উচ্চতায়।

আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের পোলাপান কিন্তু বিপদজ্জনক খেলায় মত্ত এই পাঁচ পান্ডবকে পেলেই ধরবে। মতলবি মিডিয়াকেও।

ফজলুল বারী