অস্ট্রেলিয়ার একজন সেনেটর প্রথমবারের মতো সংসদ অধিবেশনের কক্ষে তার সন্তানকে বুকের দুধ পান করিয়েছেন।
দেশটির বামপন্থী রাজনৈতিক দল গ্রিনস পার্টির সদস্য মিস ওয়াটারস তার দুই মাস বয়সী মেয়েকে গত মঙ্গলবার সংসদের অধিবেশন চলার সময় বুকের দুধ পান করান।
অস্ট্রেলিয়ার সংসদের নিম্ন কক্ষে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর অনুমতি দেয়া হয় গত বছর। কিন্তু এর আগে কোন নারী সদস্য তার শিশুকে অধিবেশন কক্ষে বুকের দুধ পান করান নি ।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার একজন মন্ত্রী প্রস্তাব করেছিলেন যে নারী সদস্যরা যাতে সংসদের কার্যক্রমে সব সময় অংশ নিতে পারে সেজন্য নতুন মা হওয়া সংসদ সদস্যরা যেন তাদের বুকের দুধ যন্ত্রের সাহায্যে বের করে শিশুদের জন্য রেখে আসে।
এনিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। এরপর সংসদ অধিবেশনের কক্ষে শিশুদের জন্য বুকের দুধ পান করানোর অনুমতি দেয়া হয়।
শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর পর মিস ওয়াটারস বলেন, ” আমাদের সংসদে আরো বেশি নারী সংসদ সদস্য প্রয়োজন। সেজন্য কাজের জায়গাটি এমন হওয়া উচিত যাতে নারী এবং মা-বাবারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।”
তিনি বলেন কাজের জায়গাগুলোতে সবাই যাতে তাদের সন্তানকে সহজে রাখতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।
কাজের জায়গায় সন্তানদের রেখে দেখাশুনা করতে পারলে নারীরা সন্তান নিতে উৎসাহিত হবে বলে মিস ওয়াটারস উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার সংসদের নিম্ন কক্ষে গত বছর পর্যন্ত নারী সদস্যরা সংসদে তাদের অফিস এবং গ্যালারিতে শিশুদের নিয়ে যেতে পারতেন।
কিন্তু দেশটির সংসদের উচ্চ কক্ষে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর বিষয়টি চালু হয় ২০০৩ সালে।
পৃথিবীর অনেক দেশের সংসদে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল হিসেবে মনে করা হয়।
২০১৬ সালে স্পেনের এক নারী সংসদ সদস্য তার শিশুকে সংসদ অধিবেশনের কক্ষে বুকের দুধ পান করানোর পর ব্যাপক আলোচনার শুরু হয়।
অনেক তার প্রশংসা করেছেন আবার অনেকে তার সমালোচনাও করেছেন।
ব্রিটেনের হাউজ অব কমন্সে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে। এনিয়ে ব্রিটেনের অনেক রাজনীতিবিদ বিষয়টির পক্ষে সুপারিশও করেছে।
কিন্তু ২০১৫ সালে একজন এমপি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের ব্যবস্থা থাকলে ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলো বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করতে পারে। (সূত্রঃ বিবিসি )