বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক জ. ই. মামুনকে মধ্যমণি করে প্রশান্তিকার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো প্রশান্তিকা জয়ী সন্ধ্যা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিডনির লাকেম্বায় গ্রামীণ রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স হলে বসেছিলো এই আনন্দ আয়োজন। এতে অংশ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াবাসী সুধীজন, লেখক, সাংবাদিক, পাঠক ও সংগঠকেরা। ছড়াকার ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্তের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে নান্দনিক সঞ্চালনায় ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী সাকিনা আক্তার।
জ. ই. মামুন স্বাগত বক্তব্যে দেশের সাংবাদিকতার নানা চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি নিজেকে সংবাদ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন বলে তাঁর বক্তব্যে বলেন। তিনি অনেকের প্রশ্নের জবাব দেন। প্রশান্তিকা বইঘরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা জ. ই. মামুনের দুটি বই- একটি কবিতা (করতলে জোনাক জ্বলে) এবং অন্যটি প্রবন্ধ (বেহেস্তের মেজর) উপস্থিত দর্শকেরা সংগ্রহ করেন এবং লেখকের অটোগ্রাফ গ্রহণ করেন। বইদুটি থেকে আবৃত্তি ও পাঠ করে শোনান যথাক্রমে পলি ফরহাদ, শাহীন শাহনেওয়াজ ও শুভজিৎ ভৌমিক।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন প্রবীণ সংগঠক ও আওয়ামী রাজনীতিবীদ গামা আব্দুল কাদির, নাট্যজন ও নির্দেশক জন মার্টিন, সিনিয়র সাংবাদিক ও জন্মভূমি টিভির সিইও আবু রেজা আরেফিন, মুক্তমঞ্চ সম্পাদক ও সংগঠক আল নোমান শামীম, রাজনীতিবীদ ও লেখক মো. শফিকুল আলম, লেখক ও কলামিস্ট শাখাওয়াৎ নয়ন, মেলবোর্ন থেকে আগত পাঞ্জেরী বুক স্টোরের কর্ণধার ও প্রকাশক কামরুল হাসান শায়ক, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ মিডিয়া ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি রহমতউল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে লেখক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত সাংবাদিক জ. ই. মামুনকে নিয়ে মঞ্চে আসেন। অজয় দাশগুপ্তের বক্তব্যের পরে তিনি দর্শকদের প্রশ্ন গ্রহণ করেন। এসময় খুব মন খুলে সব প্রশ্নের উত্তর দেন জ. ই. মামুন। একটি প্রশ্নের জবাবে জ. ই. মামুন বলেন-“ আমার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতার জার্নিতে এ কথা বলতে পারি জীবনে কখনই আমি আপোস করিনি। এ পেশাটাকে সবসময় সম্মান করে এসেছি এবং আসছি।” তিনি সাংবাদিক না হলে কী হতেন- এ প্রশ্নের জবাবে বলেন হয়তো শিক্ষক হতেন। তিনি আয়োজক এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন- আপনাদের এই ভালোবাসা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
প্রশান্তিকা সম্পাদক আতিকুর রহমান শুভ বর্ষসেরা লেখক ও সাংবাদিকদের পুরস্কার প্রদাণ পর্ব পরিচালনা করেন। এসময় তিনি উপস্থিত প্যানেল বিচারক অজয় দাশগুপ্ত, আবু রেজা আরেফিন, জন মার্টিন, নোমান শামীম, শাখাওয়াৎ নয়নকে মঞ্চে ডেকে নেন। বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ প্রদান করেন জ. ই. মামুন। সাংবাদিক ও লেখক পুরস্কার লাভ করেন- প্রতিবেদন বিভাগে দীপঙ্কর গৌতম; বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগে ফাহাদ আসমার ও শুভজিৎ ভৌমিক; মননশীল (শিল্প ও সাহিত্য) বিভাগে অনীলা পারভীন; কলাম বিভাগে শিল্পী রহমান ও তানজিনা তাইসিন।
অনুষ্ঠানে আলোকচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এডওয়ার্ড অশোক অধিকারী, সরকার কবিরউদ্দিন। সার্বিক সহযোগিতা করেন মো. শফিকুল আলম, দিবাকর সমাদ্দার, টাবু সঞ্জয় এবং আরিফুর রহমান।