অনলাইন ডেস্কঃ ১৫ আগস্ট ২০১৫
আমার চলচ্চিত্রে আসার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। কারণ পাকিস্তান আমলেই আমার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়েছিল। একসময় এসব থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে কাজ শুরু করি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম। দেশ স্বাধীন হল। আবারও পুরোদমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করলাম। তখন ‘ওরা ১১জন’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্রের শুটিং হচ্ছিল।
এখন যেমন আপার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) কাছে যেতে হলে নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতে হলে আমাকে কোনো রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো না। কারণ আমার চেহারাই ছিল বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার ছাড়পত্র। সে সময় একদিন ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাই। তিনি দূর থেকে আমাকে দেখেই দরাজ কণ্ঠে বলে উঠলেন, ‘কী রে তুই নাকি এখন রং মাইখ্যা ঢং শুরু করছস।’ কথাটা শুনে মনটা আমার এতো খারাপ হল যে মুখটা লুকিয়ে নিলাম। তারপর পেছন থেকে নীরবে এসে আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন, ‘আমি কি একটু ঠাট্টাও করতে পারব না তোর সঙ্গে!’ এরপর তিনি আমাকে বললেন, তুই যেখানে আছিস সেখান থেকে অনেক বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। তার সেই কথাটা আজও আমার কানে বাজে।’ ( সুত্রঃযুগান্তর)