অনলাইন ডেস্কঃ এরপর থেকে পেপের দানাও আর ফেলবেন না। কারণ, পাকা পেপের মতো তার দানাও কিন্তু বহু গুণের অধিকারী। লিভার, কিডনি থেকে গর্ভনিরোধক- কী নয়! জাস্ট এক চামচ পেপে দানার গুঁড়োই রোজ যথেষ্ট। হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: হজমশক্তি বাড়াতে পেপের তুলনা নেই। পরিপাক নালিকে চনমনে রাখে। যার ফলে দ্রুত হজম হয়। পাকিস্থলির উপর কম চাপ পড়ে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে: পেপের মধ্যে ক্যান্সার বিরোধী ধর্ম রয়েছে। ফলে ক্যান্সারকে দূরে রাখতে নিয়মিত পেপে খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, পেপেতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আইসোথিয়োসায়ানেট, যা স্তন, প্রস্টেট, ফুসফুস ও কোলন ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়।
লিভার পরিষ্কার করে: পেপের মধ্যে যে ডিটক্সের গুণ রয়েছে, তা কমবেশি সবারই জানা। লিভারের সমস্যায় যারা ভুগছেন, বা না-ভুগলেও যাঁরা চান লিভার ভালো থাকুক, পাকা পেপে খেয়ে যান।
ফ্যাটি লিভারে পাকা পেপের দানা খেতে হবে: বহু গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য পাকা পেপের দানা খুব ভালো ওষুধ। রোজ এক চামচ করে পেপে দানার গুঁড়ো খান। লিভারকে ডিটক্সিফাই করবে। এর পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ায় ও লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ভালো ফল পেতে সবচেয়ে আগে ড্রিংক করা বন্ধ করতে হবে।
কিডনি ফিট রাখে: লিভারের মতো কিডনি থেকেও ক্ষতিকারক জিনিস বের করে দেয় পাকা পেপের দানা।
রক্তের চাপ কমায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পাকা পেপের পাশাপাশি পেপের দানাও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেপেতে থাকা কারপেইন নামে বিশেষ এক যৌগ উচ্চ রক্তচাপও কমায়। ফলে যারা হাইপ্রেসারে ভুগছেন, বেশি করে পেপে খান।
গাঁটের যন্ত্রণা, হাঁপানি, আর্থরাইটিস: এসব অসুখেও পেপে খুব উপকারী। বিশেষত, পেপে গাছের ডাল। এর মধ্যে থাকা বিশেষ উৎসেচকের উপস্থিতি আর্থরাইটিস, গাঁটের যন্ত্রণার পাশাপাশি হাঁপানিতে ভালো কাজ দেয়।
প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধকও: প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক হিসেবে অতীতে পাকা পেপের দানার ব্যবহার বহুল প্রচলিত ছিল। গর্ভবতী হতে চাইলে, সে সেময় পেপের দানা খাওয়া যাবে না। আবার পুরুষদেরও স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়। ফলে, কোনও পুরুষেরই যৌবনকালে খুব বেশি একটানা পেপে দানা খাওয়া অনুচিত। (স্বাধীনবাংলা২৪ডটকম)