কাজী সুলতানা শিমিঃ শত ফুল প্রস্ফুটিত হোক’-এই অঙ্গীকার নিয়ে নিপবন পল্লী গ্লোবাল নামে সিডনিতে প্রবাসি বাংলাদেশীদের একটি বাক্তিগত উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে গত ২৬শে ডিসেম্বর ওয়েন্টওর্থভিল রেডগাম অডিটয়ামে। এই বিজয় উৎসব মূলত ছিল শিশু কিশোরদের বাংলাদেশ নিয়ে নানা পরিবেশনায় সাজানো। হল সাজানো থেকে শুরু করে নানা পসরা দিয়ে দোকান খুলে কেনা-বেচা করে তারা নিজেরাই। বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানসূচীতে সকালে ছিল নিপবন পল্লীর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যেমন খুশি তেমন সাজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
বেলা দুইটায় দুপুরের খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে রোকসানা হুসাইন জেবা ও কাজী সুলতানা শিমি’র সঞ্চালনায় শুরু হয় মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল ছোটদের নানা অংশগ্রহণ। তাদের পরিবেশনায় কোরাস গান, দলীয় নৃত্য, একক নৃত্য, গান, কবিতা, গীতিনাট্য ও ফ্যাশন’শো ছিল বিজয় দিবসের মূল আকর্ষণ। অংশগ্রহণকারী ছেমেয়েদের মধ্যে ছিল অপ্সরা, নিশু, রোজ, রেইন, ছোঁয়া, তানিশা, নোয়েল, ফাবিহা, প্রথম, সামারা, রিউইন, শেরউইন, রাশনান, সারাহ, তাজমিন ও নুশাবা। ছোটদের পরিবেশনার মূল দায়িত্বে ছিলেন ডঃ ফারজানা ইউসুফ লিটা ও নুরুন্নাহার ফামি টুম্পা। ছোট ছোট কলকাকলিদের অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য বড়োরাও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে।
নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশি কৃষ্টি ও ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে মূলত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক দায়িত্ব ও তত্বাবধানে ছিলেন ডঃ শায়লা জাহিদ লিমা ও সহযোগিতায় ডঃ শায়েক খান। আয়োজকদের মধ্যে গুরত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করেন স্বপন ইসলাম, খন্দকার মামুন রহমান, শিরিন শাওন ও ডঃ জাকির পারভেজ। সাউন্ড সিস্টেম ও মঞ্চ পরিচালনায় ছিলেন বদিউজ্জামান নাদিম ও অক্টপ্যাডে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন নির্মাল্য চক্রবর্তি।
উল্লেখ্য, নিপবন পল্লী সিডনিতে বসবাসরত প্রবাসি বাংলাদেশীদের একটি বাক্তিগত প্রচেষ্টা যা নতুন প্রজন্মকে সকল প্রকার বাংলাদেশী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ, চর্চা এবং সম্প্রসারিত করার অনুপ্রেরণা মূলক উদ্যোগ নিয়ে থাকে। ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম গৌরব ও আনন্দের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের স্বাধীনতার ও স্বকীয়তার আত্মপ্রকাশের দিন। নতুন প্রজন্মের কাছে এই বার্তা প্রকাশের দায়িত্ব আমাদের সকলের। এই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে আয়োজকরা জানান, ‘আমাদের নুতন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরগাঁথা, ইতিহাস এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই মূলত এই আয়োজন।’ সবশেষে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।