সিডনিতে ঈদের নামাজের সময়সূচী নিয়ে বরাবরই একটা আতঙ্কে থাকতে হয় এই দেশের মুসলমানদের। প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়াতে রোজা কবে শুরু হবে সেই দিনটি যেমন ঠিক করা কঠিন , ঠিক তেমনি রোজা শেষ করে ঈদ পালন করার দিনটিও যেন খুব অনিশ্চিত। আর এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে থাকতে থাকতে অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানরা বছরের পর বছর এইভাবে রোজা- ঈদ করে যাচ্ছেন।
আর এই প্রবণতাটা সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আগত মুসলমানদের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়াতে যেসব মুসলমানদের আদিবাস আরব ও আফ্রিকা ভুক্ত দেশগুলোতে তাদের মধ্যে কোন রকম দ্বিধা নাই। তারা সরাসরি সৌদি আরব এর দিনক্ষণ দেখে রোজা শুরু ও শেষ করে।
আমরা সাব-কন্টিনেট থেকে আসা মানুষগুলো সুবিধামতো কখনও সৌদী পন্থী , কখনও সাব-কন্টিনেট পন্থী আবার মাঝে মাঝে উইকএন্ড পন্থী।
বিজ্ঞানের যুগে বসবাস করছি , যেখানে আমরা প্রতি মিনিটে চাঁদ -সূর্যের অবস্থান বলতে পারি, পারি আবহাওয়ার গতিবিধি পর্যালোচনা করতে কিন্তু বলতে পারি না চাঁদ দেখা গেল কি গেল না।
হায় সেলুকাস কি বিচিত্র এই এই পৃথিবী ! কি বিচিত্র আমাদের ধর্মীয় ব্যাখ্যা !
যারা সৌদি পন্থী অথবা উইকেন্ড পন্থী তারা আজ ২৫ শে জুন রবিবার সারা অস্ট্রেলিয়াতে ঈদ উৎযাপন করবেন এবং যারা অস্ট্রেলিয়ায় বা তার কাছাকাছি দেশে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল ( সনাতনপন্থী) তারা আগামী ২৬ শে জুন সোমবার ঈদ উৎযাপন করবেন।
অবাক লাগে যখন পাশাপাশি দুইটি পরিবারই বাংলাদেশ থেকে আগত , একটি পরিবার যে দিনটি ঈদ করছে আগামীকাল সেই একই দিনে রোজা রাখছেন পাশের বাসার লোকজন। আমরা গুরুজনের কাছ থেকে শুনতাম ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। এখন বিচারের দায় কার ???