অনলাইন ডেস্ক:
সবুজ রঙের বেরী জাতীয় ফল পেয়ারা। তবে অন্যান্য বর্ণের পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফল এটি। গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে এ ফল পওয়া যায়। এমনকি শহরেও অনেকে টবে পেয়ারা গাছ লাগিয়ে থাকেন। পেয়ারার খোসায় কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশী ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট।
পেয়ারার ইংরেজি নাম Guava। লাল পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড আপেল বলা হয়। প্রতিটি পেয়ারা Psidium গণের অন্তর্ভূক্ত। এ গণের প্রায় ১৫০টি প্রজাতি রয়েছে। তবে আমাদের দেশে Psidium guajava প্রজাতিটি বেশি জন্মাতে দেখা যায়।
পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চল এর আদি জন্মস্থান। তবে মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানেই বেশী জন্মে।
পেয়ারা ভিটামিন-সি এবং পেকটিনের অন্যতম উৎস। এছাড়া ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। এ ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান।
পেয়ারায় ৮০-৮৩% পানি, ২.৪৫% অম্ল, ৩.৫০-৪.৪৫% বিজারিত চিনি, ৩.৯৭-৫.২৩% অবিজারিত চিনি, ৯.৭৩% দ্রবনীয় শুষ্ক পদার্থ, ০.৪৮% পটাশিয়াম, ২৬০ মি. গ্রাম/১০০ গ্রাম ভিটামিন-সি থাকে। মৌসুম, পরিপক্কতা ও জাতভেদে এর তারতম্য হয়ে থাকে।
পরিণত হলে কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই পেয়ারা খাওয়া যায়। টাটকা অবস্থায় পরিপক্ক ফল থেকে সালাদ, পুডিং এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সুস্বাদু জেলী, শরবত, পাউডার, আচার ও আইসক্রীম তৈরি করা হয়।
নিয়মিত পেয়ারা খান, সুস্থ থাকুন!