বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ন জয়ন্তীতে বিডিহাব সিডনি মাসব্যাপী নানান অনুষ্ঠানমালায় সিডনিতে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারনায় উদযাপন করে একটি অনন্য উদাহরন সৃষ্টি করেছে।
সিডনির দু’শটি বাড়ীতে তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং নানান বর্নিল আলোক ছটায় সজ্জিত করেছে পুরো মাসব্যাপী।
গত ২৭ মার্চ শনিবার তাদের অনুষ্ঠানমালার শেষ দিনে প্রথম পর্বে সিডনির অন্যতম বাঙ্গালীদের আবাসস্থল মিন্টোতে বিকাল ০৪:০০টায় এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনকারী সকল বয়সের নারী, পুরুষ এবং শিশুরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির ব্যাজ মাথায় বেঁধে, বাংলাদেশের পতাকা খঁচিত পান্জাবী পরিধান করে ব্যান্ডের তালে তালে নেচে গেয়ে মিন্টোর এরিকা লেন হয়ে মিন্টো মলের কারপার্কে শেষ করে। শোভাযাত্রাটি স্থানীয় কমিউনিটির সকল মানুষকে বাংলাদেশ সম্পর্কে উৎসুক করে তোলে।
দ্বিতীয় পর্বে লিভারপুলের স্কাইভিউ রিসেপশন ফাংশন সেন্টারে এক অনিন্দ্য সুন্দর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পদক প্রদান, মুক্তিযোদ্ধাদ্র সম্মাননা প্রদান এবং সর্বশেষ ডিনার অনুসরন করে শেষ হয়।
শুরুতে জনাব গোলাম কিবরিয়া কুরান থেকে তিলোয়াত করেন এবং জনাব রতন কুন্ড গীতা পাঠ করেন। এরপর যথাক্রমে বাংলাদেশের এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। কিশোর সংঘের কিশোর-কিশোরীদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত অনুষ্ঠিত হয়। এর পর্বের নির্দেশনায় ছিলেন সেলিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে বিডিহাব সিডনির সভাপতি জনাব আবুল সরকার সভাপতিত্ব করেন এবং আব্দুল খান রতন স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। হাব কর্মকর্তাদের মধ্যে মোহাম্মাদ টিপু, শফিক শেখ, শাখাওয়াৎ হোসেন শওকত, নীরব মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিউ সাউথ ওয়েলস্ এর প্রিমিয়ারের পক্ষে মার্ক কুরি এমপি, ফেডারেল এমপি ফর ওয়ারিয়া এ্যান স্ট্যানলি, স্টেট এমপি ফর ম্যাকোয়ারী ফিল্ডস আনুলাক চন্টিভং, সাবেক ক্যাম্বেলটাউন মেয়র কেন্ট জনস, লিভারপুল কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র মাযাহার হাদিদ, সিডনিতে বাংলাদেশের কনস্যুলেটে কনসাল জেলারেল খন্দকার মাসুদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এবং স্বাধীনতা পদক বিতরন করেন।
পদক প্রাপ্তরা হলেন:
প্রফেসর ড: রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড: অমিত চাকমা, প্রফেসর ড: আতিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড: আনিসুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর আবেদ চৌধুরী, ড: নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ এবং কামরুল চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীর আলম।
মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জনাব মীজানুর রহমান তরুন, আব্দুল লতিফ, হেলালুদ্দিন সম্মাননা পেলেন।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় ছিলেন ড: মলয় চৌধুরী। অংশগ্রহন করেন মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান তরুন, যুথি ,মোর্শেদ আলম ,সত্যজিৎ সাহা, আতিক হেলাল এবং মিতা হেলাল, কবিতা আবৃত্তি করেন শাহীন শাহানেওয়াজ। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন মৌসুমী সাহা এবং তার দল। তবলায় বিজয় সাহা এবং শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মাহাদী।