সিডনিতে আরিফুর রহমানের উপন্যাসের পাঠ উম্মোচন ও সাহিত্য আসর

সিডনিতে আরিফুর রহমানের উপন্যাসের পাঠ উম্মোচন ও সাহিত্য আসর

অস্ট্রেলিয়াবাসী লেখক, সাংবাদিক, পাঠক ও সুধীবৃন্দের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠে প্রশান্তিকার সাহিত্য আড্ডা- প্রশান্তিকা মুগ্ধ পাঠের আসর। গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিডনির ছোট্ট বাংলাদেশ খ্যাত লাকেম্বার গ্রামীণ রেস্টুরেন্ট হলে সুধীজনের এই সমাবেশ ঘটে। তরুণ কথাসাহিত্যিক আরিফুর রহমানের সাম্প্রতিক ‘আমাদের ঠিকানা বদলে গেছে’ উপন্যাসের পাঠ উম্মোচন এবং ডায়াসপোরা বা অভিবাসী সাহিত্য বিষয়ে বক্তারা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক প্রশান্তিকাসএবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো ‘চারু’ সংগঠন।

সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন সিডনির সিনিয়র বাঙালি কমিউনিটি নেতা সাহিত্যমোদী সর্বজন শ্রদ্ধেয় গামা আব্দুল কাদির। ডায়াসপোরা সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে বিশদ বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক ছড়াকার ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত। দীর্ঘ তিনঘন্টা ব্যাপি অনুষ্ঠানে সিডনির সংস্কৃতিজন, লেখক, শিল্পী ও পাঠকেরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। নান্দনিক এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শুভজিৎ ভৌমিক।

অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ডায়াসপোরার গল্প যদি বলতে হয় আপনাকে নীরদ সি চৌধুরী, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ এমনকি হুমায়ূন আহমেদের কথাও বলতে হবে। তিনি মার্কিন দেশে থেকে দীর্ঘদিন সাহিত্য রচনা করে গেছেন। কিংবা তসলিমা নাসরিনের চেয়ে বড় ডায়াসপোরা সাহিত্যিক আর কে আছেন! তিনি আরিফুর রহমানের লেখক জীবনের সার্থকতা কামনা করেন।

আরও বক্তব্য রাখেন প্রশান্তিকা সম্পাদক ও প্রশান্তিকা বইঘরের কর্ণধার আতিকুর রহমান শুভ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট কাজী সুলতানা শিমি, লেখক ও চিকিৎসক শাফিন রাশেদ, রাজনীতিবীদ ও লেখক শফিকুল আলম, নাট্যকার ও সংস্কৃতিজন শাহীন শাহনেওয়াজ, নাট্যজন জন মার্টিন, সিডনির একুশে একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেহাল নেয়ামুল বারী, লেখক ও সংগঠক কায়সার আহমেদ, এবি স্ট্রিট লাইব্রেরীর কামাল পাশা, ক্যাম্পবেলটাউনের কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, পড়ুয়ার আসরের কর্ণধার রোকেয়া আহমেদ, ভারতীয় বংশোদ্ভুত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি আব্বাস রাজা আলভী সুফী,
সংগঠক ও সম্পাদক এলিজা আজাদ টুম্পা, লেখক ও সংস্কৃতিজন সাকিনা আক্তার, সংগীত পরিচালক ও সরোদ বাদক তানিম হায়াত খান রাজিত, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি রহমত উল্লাহ, ফারজানা তাজরিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ফুলকপি নামে চমৎকার একটি আবৃত্তি করেন শহিদুল আলম বাদল। প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিথিদের প্রশ্নের জবাব দেন লেখক আরিফুর রহমানের। পাঠক ও লেখক সমন্বয়ে পর্বটি খুব উপভোগ্য হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে আরিফুর রহমানের এ যাবৎ প্রকাশিত ৭টি উপন্যাসের প্রদর্শনী ছিলো। অনেকেই তাঁর বইগুলো সংগ্রহ করেন।

অনুষ্ঠানে লেখক ও আয়োজকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কাজী সুলতানা শিমি, আশিকুর রহমান অ্যাশ, কামাল পাশা প্রমুখ।

সবশেষে সভাপতি গামা আব্দুল কাদির সমাপনি বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা আরিফুর রহমানের উপন্যাস ও ডায়াসপোরা সাহিত্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।