বাংলাদেশ কৃষিখাতে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক পরিকল্পনার জন্য !

বাংলাদেশ কৃষিখাতে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক পরিকল্পনার জন্য !

গত ৪ মে শনিবার সন্ধ্যায় সিডনির ইঙ্গেলবার্নে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া শাখার এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এম পি। সংগঠনটির সভাপতি আব্দুস সাদেকের সভাপতি স্বাগত জানান বাহাউদ্দিন নাছিমকে এবং তার সহধর্মিনী ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট প্রধান করে। জনাব সাদেক , উপস্থিত কৃষিবিদ , সাংবাদিক, ব্যবসায়ী,রাজনীতিবিদ ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন পেশার আমন্ত্রিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মতবিনিময় সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পরমেশ ভট্টাচার্য্য।
সিডনিতে এতো সক্ষিপ্ত সময়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া শাখার নেতৃবৃন্দকে। শুরুতেই তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিছু স্মৃতিচারণ করেন সিডনি প্রবাসী শেখ রাসেলের শিক্ষক গীতালি দাশ গুপ্তকে নিয়ে।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন , ” বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের যাদেরকে বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে ঘাতকরা হত্যা করেছেন ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫ সালে। যারা বাংলাদেশ চাননি তারাই স্বাধীনতার সূর্যকে চিরতরে ঢুবিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। বিদেশে থাকার জন্য বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সেই খুনিদের পুনর্বাসন ও বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের হত্যার বিচারকে প্রতিহত করার জন্য “ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ” জারি করে তাদেরকে রক্ষা করেন খুনিচকক্রের দোসররা । কিন্তু শেখ হাসিনাকে দমিয়ে রাখতে পারেননি। তিনি মৃত্যর ভয়ে বিদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিতে পারতেন , জীবনের মায়া ত্যাগ করেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশে চলে আসেন এবং একুশ বছর সংগ্রাম করেন। তিনি বারবার মৃত্যুর মুখুমুখী দাঁড়িয়েছেন , জেলজুলুম করা হয়েছে ও বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। কিন্তু তিনি এগিয়ে যাবার পথ ছাড়েননি , তিনি এগিয়ে চলেছেন ,তিনি পালিয়ে যাবার চেষ্টাও করেননি। তার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিবর্তন হয়েছে , বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে , বাংলাদেশে আজকে সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে নিজেদের জায়গা করে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেন শেখ হাসিনার পারেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আন্তে, শেখ হাসিনাই পারেন বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পৌঁছে দিতে। তিনি পেরেছেন আমাদের সেই স্বপ্নের জায়গাটা পৌঁছে দিতে। “
তিনি আরো বলেন ,” আমি কৃষিবিদ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে অহংকার বোধ করি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা , আমি যেন এই দুইটি পরিচয় নিয়েই এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারি। “
এছাড়াও বলেন , ” বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ন একটি জাতি , এতো ছোট একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে , এইটা কোনোদিনই সম্ভব হতো না , যদি কৃষিখাতে উন্নতি না হতো এবং এই কৃষিখাতে উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হতো না যদি বঙ্গবন্ধুর কন্যার বিশেষ দৃষ্টি না থাকতো। এই জন্য সারা জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। আজকে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈল্পবিক পরিবর্তন এনেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। “
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে , উপস্থিত সকলের কাছ থেকে প্রশ্নপর্বে অংশ নেন বাহাউদ্দিন নাছিম। এই পর্বটি পরিচালনা করেন ক্যানবেরা থেকে আগত কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম।
রেমিটেন্স যোদ্ধাদের অস্ট্রেলিয়ান দলের বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা , বাংলাদেশে থেকে টাকা পাচার , অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোট দেয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে ব্যবসায় ও পুঁজিবিনিময় ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীরা।
জনাব নাছিম , প্রতিটি প্রশ্নের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে জবাব দেন এবং যেসমস্ত সমস্যাগুলো অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত নাগরিকরা সম্মুখীন হচ্ছেন, তিনি তা লিখিত আকারে পেলে , সাধ্যমতো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পেশ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদের সাথে ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজখবর নেন। উল্লেখ্য ব্যক্তিগত সফরে বাহাউদ্দিন নাছিম পরিবার নিয়ে সিডনিতে এসেছেন মেয়ের গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে যোগদিতে।