অনলাইন ডেস্কঃ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
সোমবার বেলা ৩টায় সিন্ডিকেট বৈঠক শুরু পর সভায় ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ’র এই প্রস্তাব তোলা হয়, বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে সিন্ডিকেটের সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশটির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যত ধরনের সম্পর্ক রয়েছে’, তা ছিন্ন করার বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে কী নারকীয়ভাবে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে- তা বাঙালিরা কখনো ভুলবে না।তাই আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপাচার্য বলেন, বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক যে শাস্তির দাবি- তা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের দাবি ও শহীদ পরিবারে দাবি।একাত্তরে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় এ দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে। সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সোমবার শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতি।
উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন বলেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সময় এসেছে। কারণ, তারা গণহত্যা চালিয়েছে একাত্তরে, আবার সেই গণহত্যাকে অস্বীকার করছে।এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক থাক- তা আমরা চাই না ‘ ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পূর্বক্ষণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যরা।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বুদ্ধিজীবীদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত লাশ রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায়নি, পাওয়াও যায়নি বহু লাশ। ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। (সুত্রঃপ্রিয়.কম)