অনলাইন ডেস্কঃ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের কাছে একটি বন্দর “এবট পয়েন্ট প্রকল্প” সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এজন্য ১১ লাখ ঘনমিটার মাটি ড্রেজিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ স্থানীয় একটি খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ পেয়েছে। ওই কয়লা পরিবহনের জন্য নিকটবর্তী অ্যাবট বন্দর সম্প্রসারণের কাজও করবে আদানি গ্রুপ। খবর এএফপি।
কুইন্সল্যান্ডে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ কয়লা খনি নির্মাণ প্রকল্প সরকারি সবুজ সংকেত পাওয়ার দুই মাস পর, একই এলাকায় বিশ্বের সর্ববৃহত্ কয়লা বন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রেলিয়া সরকার। এর আগে কুইন্সল্যান্ডের গ্যালিলি বেসিনে ১৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে (১২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার) স্থাপিত ভারতীয় আদানি এন্টারপ্রাইজের কারমাইকেল কয়লা প্রকল্প পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার মুখে পড়ে। অ্যাবোট পয়েন্ট কয়লা টার্মিনালের মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় কয়লা পাঠানোর সিদ্ধান্ত পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ বিবেচনায় এর সমালোচনা করা হয়। পরিবেশবাদীরা বলছেন, অ্যাবোট পয়েন্টের যেকোনো সম্প্রসারণ, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত রিফটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে ও স্থানীয় প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস করবে।
এদিকে দেশটির পরিবেশমন্ত্রী গ্রেগ হান্টের একজন মুখপাত্র জানান, জাতীয় পরিবেশ আইনের ৩০টি কঠোর শর্তের অধীন কুইন্সল্যান্ডের রাজ্য শ্রম সরকার অ্যাবোট পয়েন্টে প্রবেশপথ বৃদ্ধির প্রকল্প অনুমোদন করেছে। তিনি আরো জানান, প্রকল্পটির জন্য ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন প্রয়োজন পড়বে। এর আগে ১৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার নতুন সরকার আদানি গ্রুপের কয়লা প্রকল্পটিকে পুনরায় অনুমোদন দেয়। সে সময় ৩৬টি শর্তসাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদন প্রসঙ্গে পরিবেশমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের কঠোরতম ৩৬টি শর্ত অনুমোদনের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় ঠিক করা হয়েছিল যে, তিন মিলিয়ন কিউবিক মিটার ড্রেজিং করা হবে ও এ বর্জ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের মেরিন পার্ক-সংলগ্ন সমুদ্রে ফেলা হবে। এনিয়ে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হলে এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসা হয়। এবার এ কারণে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন কিউবিক মিটার ড্রেজিং করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মালবাহী জাহাজ অ্যাবোট পয়েন্টে ডক করার অনুমতি দেয়া হলেও বর্জ্য জমিতে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান পরিবেশমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, সব বর্জ্য পদার্থ তীরবর্তী শিল্প জমিতে ফেলা হবে, রিফ এলাকায় বা ক্যালি ভ্যালির জলাভূমিতে ফেলতে দেয়া হবে না। এছাড়া বন্দর এলাকাটি প্রবাল প্রাচীর থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কোনো প্রবাল প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ( সুত্রঃ বনিক বার্তা)