অনলাইন ডেস্ক: ২২ ডিসেম্বর ২০১৫
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের যে সংখ্যা বলা হয় তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
বাংলাদেশের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল বলে সরকারিভাবে উল্লেখ করা হয়।
দু’দফা ক্ষমতায় থাকার সময়েও খালেদা জিয়া শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোন কথা বলেননি।
মুক্তিযোদ্ধাদের এই সমাবেশে দেওয়া ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা কথাবার্তা।
এরই এক পর্যায়ে তিনি উল্লেখ করেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মানুষদের আনুষ্ঠানিক যে সংখ্যা সেটি নিয়ে বিতর্কের কথা।
তিনি বলেন, মক্তিযুদ্ধের সময় কতো মানুষ নিহত হয়েছিলো তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দীন আহমেদ।
মি আহমেদ বলেন, “খালেদা জিয়া তো নিজের কোনো মতামত দেননি। তিনি বলেছেন, এনিয়ে একটি বিতর্ক হয়েছে।”
তিনি বলেন,”মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিলো তখন ৮০ হাজার। এখন কিভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আড়াই লাখ হলো? এই দুটো মিলিয়েই তিনি বলেছেন।”
‘বর্তমান সরকারই এই বিভ্রান্তি তৈরি করেছে যা নিয়ে মানুষের মনেও বিভ্রান্তি আছে।” বলেন তিনি।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের একজন গবেষক ড. এম এ হাসান। তিনি ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিরও আহ্বায়ক, তিনি বলছেন, এতবড় একটা যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনায় এনে যে সংখ্যাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে, সেটি নিয়ে বিতর্ক করা উচিত নয়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ প্রাণহানি ঘটেছিল বলে সরকারীভাবে উল্লেখ করা হয়।
একই সাথে ওই সময়ে ২ লাখ মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বলেও বলা হয়, ড. হাসান যে সংখ্যাটিকে আরো অনেক বেশি বলে মনে করেন। (সুত্রঃ বিবিসি বাংলা)