কভিড ১৯ এর সময় সারা দুনিয়া জুড়েই মানুষের মধ্যে চূড়ান্ত অস্থিরতা কাজ করেছে। চাকুরী বিহীন জীবন, গৃহবন্দী জীবন, জীবন মৃত্যুর ভীতি এবং দিনের পর দিন বাসায় থাকার পরে জাত, ধৰ্ম, বর্ণবেদে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই এক ধরণের হতাশা জন্ম নেয় । আর এর প্রভাব অনেকাংশেই বাড়ির মেয়েদের উপর পরে । যেহেতু বাঙালি মেয়েরা পারিবারিক শান্তি প্ৰিয়, তাঁদের অনেকেই নিজের কথা কোন প্রশাসনকে বলতে চায় না। অস্ট্রেলিয়াতে কয়েকজন বাঙালি নারী কভিড ১৯ এর আগে নির্যাতিত হয়েছে এবং কারো কারো নির্যাতনের মাত্রা এতোই বেশী ছিলো যার ফলে জীবন প্রদীপটাও নিভে যায় । কভিড ১৯ এর মধ্যে এবং পরবর্তীতে এই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন অনেক বেড়ে গিয়েছে যা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় মধ্যেমে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি মেয়েদের কথা চিন্তা করেই সিডনির কয়েকজন নারীর নেতৃত্বে গত ১৫ অক্টোবর ঘরোয়া ভাবে তাদের যাত্রা শুরু করে ।গত ২৯ নভেম্বর ইঙ্গেলবার্ন রিজার্ভ পিকনিক স্পটে এই উদ্যোগী নারীদের নিয়ে “আমাদের কথা” আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে । প্রচন্ড গরমের মধ্যেও এই নারীদের দিনব্যাপী মতবিনিময় শেষে কেক কেটে আনুষ্ঠানিক “আমাদের কথা ” আত্মপ্রকাশ করে । আমাদের কথায় থাকবে অনলাইনে ফেইসবুক গ্রূপ এর পাশাপাশি সরাসরি সাংগঠনিক কার্যক্রম হিসেবে তিনমাস পর পর একটি মিলন মেলা হবে। ফেইসবুক গ্রূপে এডমিন হিসেবে থাকছে পূরবী পারমিতা বোস,মঞ্জুশ্রী মিতা আর মডারেটর হিসেবে থাকছে নীলুফা ইয়াসমিন।
আমাদের কথা সংগঠনের পক্ষে পূরবী পারমিতা বলেন, “আমাদের কথা মানে আমার কথা তোমার কথা সবার কথা।যদি ইচ্ছে করে মন খুলে কথা বলার তাহলে যেন আমরা কোথাও বলতে পারি কথা । সুখ অথবা দুঃখ,সমস্যা অথবা সাহায্য ।হোক ছোট তবুও মানসিক সুস্বাস্থ্যের এই মাসে এসো আমরা সবাই সবার পাশে থাকি একটু মন খুলে আমাদের কথা বলি।আমাদের যদি ইচ্ছে করে আমরা গাইবো,নাচবো আবৃত্তি করবো,রান্না করবো,সাজবো , ঘর বাগান সাজাবো কবিতা বা গল্প লিখবো আর সেই সব কাউকে দেখাতে ইচ্ছে করলে আমাদের কথায় সবার সাথে শেয়ার করবো।
আমাদের না বলা কথা বলার জায়গা আমাদের কথা “