অনলাইন ডেস্কঃ ২৫ জুলাই ২০১৫
ঝুম বৃষ্টি গত রাত থেকেই। থামার নাম নেই! সারাটা দিন বিরামহীন বৃষ্টি। দুপুর একটার দিক বাংলাদেশ দল যাও-বা এল মাঠে। দক্ষিণ আফ্রিকা তো হোটেল থেকেই বেরোল না। ম্যাচটা খেলতে বাংলাদেশের ‘তাড়া’ যে বেশি।
একে তো বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পায় কম। র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ তো আরও দুর্লভ। বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেই তো নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হয়। আর সেই লড়াইয়ের সুযোগটাই চায় বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে একটা দিন ভেসে যাওয়া মানে বাংলাদেশের সেই প্রমাণের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া।
চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য এরই মধ্যে লেখা হয়ে গেছে প্রায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামীকালও থাকতে পারে বৃষ্টির বাগড়া। এ পরিস্থিতিতে ম্যাচটা যে ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বর্ষার এ ঝুম বৃষ্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিক্রিয়া জানা না-গেলেও বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল। দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ জানালেন, বৃষ্টি বাগড়ায় তাঁরা রীতিমতো হতাশ।
বাংলাদেশ দল মাঠে এলেও কেউ ব্যাট-বলের কাছে গেলেন, কেউ-বা গেলেন না। স্টেডিয়াম-সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে কেউ ফিরে গেলেন হোটেলে। কেউ ঘাম ঝরালেন ইনডোরে। তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ শহিদ, জুবায়ের হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ইনডোরে ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
দলের প্রতিনিধি হয়ে টিম হোটেলেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন ম্যানেজার। মাহমুদ জানালেন নিজেদের হতাশার কথা, ‘একটু তো খারাপ লাগছেই। লড়াইটা জমজমাট ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে জমজমাট লড়াইটা ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা এ টেস্টে ভালো খেলেছি। গতকাল পর্যন্ত এই টেস্টে আমরা এগিয়ে ছিলাম। এখন বৃষ্টির কারণে দুই দলই সমান অবস্থানে। আকাশের যা অবস্থা তাতে আগামীকাল খেলা নাও হতে পারে। ম্যাচ হয়তো ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে। তবে সত্যি বলতে আমরা হতাশ।’
যেহেতু বর্ষা মৌসুমে সিরিজের আয়োজন, বৃষ্টি বাগড়া দেবেই। এখানে বাংলাদেশের করণীয় সামান্যই। কেননা, সিরিজ আয়োজনে তাকিয়ে থাকতে হয় বড় দলগুলোর সূচির দিকে। বৃষ্টির সময়ে খেলা আয়োজনের ব্যাখ্যা হিসেবে মাহমুদ বললেন, ‘বৃষ্টির মৌসুমে খেলার কারণ বড় দলগুলোর খেলার সময় সূচি মিলিয়েই আমাদের খেলার সময় নির্ধারণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না আমাদের।’
এই বৃষ্টি অনেকবার ‘হাসি’ ফুটিয়েছে বাংলাদেশ দলের মুখে। কখনো কখনো বড় লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেও। কিন্তু এখন যে দিন বদলের গান বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বেদনার্ত অতীত পেছনে ফেলে দৃষ্টি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে। এ কারণেই তো বাংলাদেশ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের বিপক্ষে লিড নেয়। খেলতে না পারলে ‘হতাশা’ ব্যক্ত করে!
‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’ নয়, বাংলাদেশ দলের ছড়াটা এখন ‘নেবুর পাতার করমচা, যা বৃষ্টি চলে যা!’ ( সুত্রঃ প্রথম আলো)