অনলাইন ডেস্ক: ০৭ অক্টোবর ২০১৫
অষ্টম বেতন কাঠামো পরিবর্তন অথবা শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তারা একথা জানান। তারা জানান, অক্টোবর মাসে তাদের কোনো কর্মসূচি নেই, যথারীতি সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষাও তারা নেবেন।
তবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি দেবেন তারা। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন এবং যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। মন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো-
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে অবিলম্বে একটি ‘বেতন কমিশন’ গঠন করতে হবে।
২. স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অষ্টম বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের বেতন ভাতা গ্রেড-১, অধ্যাপকদের গ্রেড-২, সহযোগী অধ্যাপকদের গ্রেড-৩, সহকারী অধ্যাপকদের গ্রেড-৫ ও প্রভাষকদের ৭ম গ্রেড নির্ধারণ করা হোক।
৩. প্রস্তাবিত গ্রেড-১প্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক হতে ২৫ শতাংশ শিক্ষকের সুপার গ্রেডের দুই নম্বর ধাপে বেতন-ভাতা প্রদান করা হোক।
৪. রাষ্ট্রীয় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে শিক্ষকদের প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদমর্যাদা নিশ্চিত করা হোক। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরুপ সুযোগ-সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা হোক।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
(সুত্রঃ লেটেস্টবিডিনিউজ.কম)