অনলাইন ডেস্ক: ০২ নভেম্বর ২০১৫
প্রগতিশীল ব্লগার ও শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনের ওপর বর্বোরচিত হামলা এবং জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার সকাল ১১টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তা অতিক্রম করে রাজু ভাস্কর্যে প্রকাশক হত্যার প্রতিবাদে চলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশে মিছিলটি সংহতি জানায়। দুুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার আজকে শুধু প্রগতিশীল মানুষদেরকেই নয় একটি শিশুর স্বাভাবিক জন্মও নিশ্চিত করতে পারছে না। মায়ের পেটে লাথি মেরে শিশু হত্যার মত পর্যায়ে আজকে সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একের পর এক মৌলবাদী জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলার পরেও সরকার বলছে যে দেশে কোনো জঙ্গি নেই। অব্যাহতভাবে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদবিরোধী ব্লগার, লেখকদের এবং সব শেষে প্রকাশককে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে মধ্যযুগীয় পাশবিক কায়দায়।’
ছাত্র নেতারা বলেন, ‘যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা জনগণের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চয়তা দিতে পারে না সে রাষ্ট্র ভেঙ্গে ফেলা উচিত। বক্তারা এই সকল প্রগতিশীল লেখক প্রকাশকদেরকে হত্যার পিছনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং সরকারের ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেন। তারা তীব্র কণ্ঠে, সকল ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।’
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠনগুলো নিজেদেরকে স্বঘোষিত খুনি বলে দাবি করছে, তারপরেও সরকারের তাবড়-তাবড় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাব, পুলিশ নির্বিকার। অথচ যখন ন্যায্য দাবিতে ছাত্র জনতার ক্ষুদ্রতম অংশ আন্দোলনে নামে, তখন প্রতি ১০ জন আন্দোলন কর্মীর পেছনে একজন গোয়েন্দা নিয়োগ দিতে সরকার দ্বিধা করেন না। সরকারের নির্লিপ্ততা এবং জঙ্গিবাদ দমনে ব্যর্থ প্রশাসনই প্রকৃত অর্থে সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশে মৌলবাদীদের সাহস বৃদ্ধি করছে। প্রথমে লেখক তারপর প্রকাশক এরপর হয়তো বিজ্ঞানমনস্ক বই পড়ার জন্যও খুন হতে হবে।’ (সুত্রঃ বাংলামেইল২৪ডটকম)