অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব নুরুল আজাদ চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব নুরুল আজাদ চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

প্রতিদিনের মতই ফজরের নামাজের পর উনি সকালে বাসায় আসেন এবং রুটিন মাফিক স্বাভাবিক সব কাজ শেষ করে সকাল ১০ টায় তার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ছেলের ফয়সাল আজাদের সাথে কথা বলেন। উনি তার ছেলের সাথে বলেছেন উনি ডাক্তার দেখাতে যাবেন রুটিন চেকআপ করতে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস , সকাল ১১ টা নাগাদ বুকে হঠাৎ ব্যাথা অনুভব করার কারণে দ্রুত বারডেম হাসপাতালে নিয়ে গেলে উনাকে জরুরী লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু কিছুক্ষন বেঁচে থাকার পর সকাল ১১টা ৩০মিঃ , এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন জনাব নুরুল আজাদ (“ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন” ) ।

জনাব ন আজাদ ছিলেন সিডনীর রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সংবাদপত্র, খেলাধুলা বা সামাজিক অঙ্গনে অত্যন্ত সুপরিচিত মুখ। ১৯৯৭ সালে তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ঐ সময় তিনি ছিলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এডভোকেট সিরাজুল হক।

নুরুল আজাদ ছিলেন সিডনীর এক সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক স্বদেশ বার্তা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব অষ্ট্রেলিয়া দ্বারা পরিচালিত “আজাদ গোল্ড কাপ ” এর প্রর্বতক যা বর্তমানে “বিডি গোল্ডকাপ নাম পরিচিত।
এছাড়াও সিডনীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে ছিল নিবিড় সর্ম্পক। সিডনীতে তিনি তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নিজ ব্যবাসিয়ক প্রতিষ্ঠান। তান্দুরী প্যালেস, বোম্বে তান্দুরী, দি ক্লোভ বা ইন্ডিয়ান হোম ডিনারের নাম সিডনীতে অতি সুপরিচিত।

বেশ কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য শুরু করছিলেন । একক প্রচেষ্টায় নিজ জন্ম স্থান চাদঁপুর কচুয়ায় গড়ে তুলে ছিলেন মনপুরা বাতাবাড়িয়া জাফর আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও নুরুল আজাদ কলেজ।

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের প্রেসিডেন্ট জনাব সিরাজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক জবাব প্রদ্যুত চুন্নু নুরুর আজাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং এছাড়াও সিডনি তথা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সংবাদ মাধ্যমে অনেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ ও দোয়া জানিয়েছেন।