জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন খাদিজা বেগম এর পাশে তোলা একটি সেলফি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন খাদিজা বেগম এর পাশে তোলা একটি সেলফি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

খাদিজার সাথে তোলা ছবি সাবিনা আক্তার তুহিন আপলোড ও শেয়ার করেছেনখাদিজার সাথে তোলা ছবি সাবিনা আক্তার তুহিন আপলোড ও শেয়ার করেছেন

গুরুতর আহত ছাত্রী খাদিজা বেগম ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন। তাকে দেখতে গতকাল বুধবার হাসপাতালটিতে যান যুব মহিলা লীগের কয়েকজন কর্মী।

এদের মধ্যে ছিলেন সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ অপু উকিল।

সেখানে তাদের তোলা একটি সেলফি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সেলফিতে সাবিনা আক্তার তুহিন, অপু উকিলসহ আরেকজন নারীকে দেখা যাচ্ছে, পিছনে অচেতন হয়ে হাসপাতালের বেডে দেখা যাচ্ছে খাদিজা বেগমকে। এই ছবিটি বুধবার সাবিনা আক্তার তুহিন তার ফেসবুক পেজে দিলে সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। শুরু হয় বিতর্ক।

সাবিনা আক্তার তুহিন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন ছবি সেলফি মনে হলেও এটা সেলফি না। “আমাদের এক ছোট ভাই ছবিটা তোলে” বলছিলেন তিনি।

তুহিন বলছিলেন “এটা ভুল হয়েছে। কিন্তু মেয়েটা মারা যায়নি, তার পাশে আমরা আছি এটা বোঝানোর জন্য সরল মনে ছবিটা আপলোড দিয়েছিলাম”।

অপু উকিল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন এই ধরণের ছবি তোলা একেবারেই যুক্তি-যুক্ত না বলে তিনি মনে করেন।

তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মুমূর্ষু একজন মানুষকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে দেখতে যেয়ে ছবি তোলা উচিত হয়েছে কিনা? তিনি বলেন ” ছবি তোলা একেবারেই উচিত না, এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না, আমি ছবি তুলি নি, এবং আপলোড দেয় নি। যারা করছে তাদেরও কোন অশুভ উদ্দেশ্য ছিল না। খাদিজার পাশে দাঁড়ানের জন্যই হয়ত তারা এটা করেছে”।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাবিনা আক্তার তুহিন, একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। তিনি লিখেছেন “আমার গতকালের স্ট্যাটাসের জন্য যদি আমার কোন ভুল হয়ে থাকে এবং কেউ মর্মাহত হয়ে থাকেন আমি এ ব্যাপারে দু:খিত” ।

তিনি দীর্ঘ এই স্ট্যাটাসে আরো লিখেছেন আমাদের ছবি দেয়ার উদ্দেশ্য কেবল আমরা নারী সমাজ খাদিজার পাশে আছি এটা বোঝানোর জন্য আর ও বেঁচে আছে এটা জানানোর জন্য ।আমার স্ট্যাটাসে বদরুলের ফাঁসি চেয়ে নির্মম ঘটনার নিন্দা করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে ।আমার যদি ভুল হয়ে থাকে তবে আমি ক্ষমা পার্থী ।আমরা সব নির্যাতিত নারী সমাজের পাশে আছি থাকবো”

প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে সিলেটের এমসি কলেজ প্রাঙ্গণে এই ছাত্রীকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে আহত করে এক ছাত্রলীগ নেতা। গুরুতর আহত ছাত্রী খাদিজা বেগম ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এখন চিকিৎসাধীন।( সূত্র:বিবিসি )