সেতার-সরোদ-তবলার লহরীতে ছায়ানটের বর্ষবরণ

সেতার-সরোদ-তবলার লহরীতে ছায়ানটের বর্ষবরণ

রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানরমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

রমনার বটমূলে প্রতি বছরের মতোই শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টায় রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেন সংগঠনটির শিল্পীরা।

বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতি পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নামে রমনায়।

এবার ছায়ানটের অনুষ্ঠানের প্রথমাংশে থাকছে বাদন, দ্বিতীয়াংশে গান-কবিতা আবৃত্তি আর শেষ পর্বে থাকছে একটি লোকপালার উপস্থাপনা।

সেতার-সরোদের মধুর ছন্দে বাংলা ১৪২৪ সালকে বরণ করে নেওয়ার পর শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও… আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও…’। ছায়ানট এ বছর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।

সত্তরের দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন শুরু করে ছায়ানট। সেদিনের আয়োজনের প্রথম গানটি ছিল ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও…’। ওই স্মৃতিকে স্মরণ করতেই এবার প্রভাতী আয়োজনের এ গানে কণ্ঠ মিলিয়েছে ছায়ানটের ১১৫ জন শিল্পী।

ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারের আয়োজনে কিছু নতুনত্ব থাকবে। আনন্দ, মানবতা, দেশপ্রেম, গণজাগরণ ও উদ্দীপনামূলক কালজয়ী গান দিয়ে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানটি।

এর আগে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে স্মরণিকা ‘আলোকের ঝর্ণাতলায়’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন ম. ফরাসউদ্দিন। আলোচনা করেন ডা. সারওয়ার আলী ও স্মরণিকার সম্পাদক আবুল হাসনাত। ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। (সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন)