ভাস্কর্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অনেকেই ক্ষোভ, হতাশা ও প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন তাদের স্ট্যাটাস ও কমেন্টে

ভাস্কর্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অনেকেই ক্ষোভ, হতাশা ও প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন তাদের স্ট্যাটাস ও কমেন্টে

ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত এ ভাস্কর্য সরানোর দাবি করছিলো হেফাজত ইসলামন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত এ ভাস্কর্য সরানোর দাবি করছিলো হেফাজত ইসলাম

এই পর্যন্ত ২৫০০০ মধ্যে ২৪০০ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে খুশী হয়েছে , হেসেছেন ৭৭০ জন এবং রাগ করেছেন ৩৮৪ জন এবং স্বল্প সময়ে প্রায় ২ হাজার মন্তব্যে বেশিরভাগ লোক বিবিসির এই প্রতিবেদন দেখে নানা মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্রগতিশীলদের মন্তব্যে যথেষ্ট যুক্তি বহন করে। কিছু মন্তব্য দেয়া হলো।



বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট চত্বরের ভাস্কর্য কিংবা কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে এখনো তোলপাড় চলছে ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বিশেষ করে ভাস্কর্য সরানো নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি তা নিয়ে ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করছেন অনেকেই।

স্ট্যাটাস, কমেন্টে ভাস্কর্য বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করলেও তাদেরকেই অনেকেই এটার মধ্যে রাজনীতিও খুঁজে পেয়েছেন।

তবে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা আর হতাশা ফুটে উঠেছে অনেকের স্ট্যাটাসে কিংবা কমেন্টে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার আলেম যাদের বেশিরভাগই ইসলামপন্থী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতা তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে গড়া ভাস্কর্য সরিয়ে নিতে প্রধান বিচারপতির সাথে কথা বলবেন।

ভাস্কর্যটির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি এবং প্রধান বিচারপতিকে আমি এই খবরটা দিয়েছি।”

হেফাজত ইসলাম গত কিছুদিন ধরেই ওই ভাস্কর্যটিকে মূর্তি আখ্যায়িত করে সেটি সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিলো।

হেফাজতে ইসলামের দাবির পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সমালোচনার ঢেউ বয়ে যায় ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

দু’বছর আগে এই হেফাজত ইসলামই ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলো।

সেই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মতিঝিলে তাণ্ডব চালানো ও কোরান পুড়ানোর অভিযোগ করেছিলেন হেফাজতের বিরুদ্ধে।

এখন তাদের সাথে বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অনেকেই ক্ষোভ, হতাশা ও প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন তাদের স্ট্যাটাস ও কমেন্টে।

তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন হেফজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন অ্যালায়েন্স হয়ে যায়নি।