ফিফা কাউন্সিলে বাংলাদেশী নারী প্রার্থী মাহফুজা কিরণের নির্বাচনের পর টুইটারে টিকা-টিপ্পনীর ঝড়

ফিফা কাউন্সিলে বাংলাদেশী নারী প্রার্থী মাহফুজা কিরণের নির্বাচনের পর টুইটারে টিকা-টিপ্পনীর ঝড়

আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়মক সংস্থা ফিফার কাউন্সিলে এশীয় ফুটবল কনফেডারেশনের নারী প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের মাহফুজা আখতার কিরণ নির্বাচিত হয়েই তোপের মুখে পড়েছেন।

 সমালোচনা আর টীকা-টিপ্পনী চলছে সামাজিক গণমাধ্যম টুইটারে। কারণ – মিজ কিরণ বলতে পারেননি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নারী দল কোনটি।

বিবিসির এক সংবাদদাতা ম্যানি জাযমি টুইট করেছেন — নির্বাচিত হওয়ার পর মাহফুজা কিরণকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন নারীদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কে? প্রথম উত্তর ছিল উত্তর কোরিয়া। ভুল ধরিয়ে দিলে, মাহফুজা কিরণ জাপানের নাম বলেন, তারপর আমতা আমতা করে উত্তর দেন ইউএসএ।

 মজা করে মি জাযমি লিখেছেন ২/১, অর্থাৎ দুবার ভুল করে সঠিক উত্তর।

তার এই টুইটের পর মিজ কিরণকে নিয়ে সমালোচনা আর টিকা-টিপ্পনী শুরু হয়ে যায় টুইটারে।

শেইখা আল খলিফা নামেএকজন টুইটারে লিখেছেন — এই ফলাফলে আমি বিস্মিত হচ্ছি।এখন মনে হচ্ছে আমি নিজেও এর চেয়ে ভালো প্রার্থী হতাম।

শেলি জেফরি নামে একজন আরো এক ধাপ এগিয়ে লিখেছেন — বিশ্বকাপ কী বস্তু সেটাই তার জন্য হয়তো সহজ প্রশ্ন হতো।

আলেকজান্দ্রিয়া সিবোর্ন নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন — এভাবে কারো হাতের পুতুল হওয়ার জন্য তাকে (মাহফুজা কিরণকে) ধিক্কার।

ম্যাথিউ নীল নামে আরেকজন টুইট করেছেন — ফিফাকে বদলাও, সেখানে একই কাণ্ড চলছে।

এসব সমালোচনার কোনো উত্তর এখনও মাহফুজা কিরণের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

মাহফুজা আখতার কিরণ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি ময়া ডডকে ১০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

আজ (সোমবার) বাহরাইনের রাজধানী মানামায় ফিফার কংগ্রেসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের আগে অন্য দুই জন প্রার্থী উত্তর কোরিয়ার হান উন গিয়ং এবং ফিলিস্তিনের সুজান শালাবি মোলানো প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।

তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফিফা কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করবেন। (বিবিসি)