ফজলুল বারী: নির্বাচনের পুরো সময়টাই ছিলাম অনলাইনে। দেশের প্রধান নিউজ পোর্টালগুলোর পাশাপাশি একাধিক নিউজ চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচারে চোখ ছিল সারাক্ষন। বিদেশে বসে এটাইতো আমরা করি। দেহটা শুধু বিদেশে, মনটা সারা সময় পড়ে থাকে দেশে। ভোটে আওয়ামী লীগ জিতছে এটি ব্যাখ্যা করে আগেই লিখেছিলাম। কিন্তু জয় যে এভাবে এমন বিপুলভাবে আসবে তা ভাবিনি। এটা যেন হয়েছে ভোটের সুনামি। এবং বলতে পারি এমন সুনামি শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগও এভাবে ভাবেনি। উন্মুক্ত আসনের নামে দেশের বিভিন্ন আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিল লাঙ্গল প্রতীকে। ভোট ভাগাভাগিতে এটি নিয়ে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু এটি অবশ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেনি। কারন প্রতিপক্ষ বিএনপি জোট ছিলো এলোমেলো অগোছালো বিশৃংখল। তাদের নানাকিছুতে অস্পষ্টতা ছিল। যা ভোটাররা আস্থায় নিতে পারেনি।
ঐক্যফ্রন্ট যেটি হয়েছে সেটি বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে এসেছে তা সত্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সংলাপের উদ্যোগ নেন সেটিও এতো বিপুল সংখ্যক দলের নির্বাচনে অংশ গ্রহনের পথ প্রশস্ত করে। বারো বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। দলটির প্রধান নেতা খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলার দন্ড নিয়ে কারাগারে। রাজনীতিতে আসার পর এই প্রথম খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রচারনায় অংশ নিতে পারেননি। দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমান সাজা নিয়ে বাংলাদেশের আইনে পলাতক হিসাবে লন্ডনের বাসিন্দা। আইনত পলাতক হওয়াতে দেশের মিডিয়ায় তার বক্তব্য প্রচার নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। এসব বিএনপিকে শুরুতেই নির্বাচনী প্রতিযোগিতার দৌড় থেকে পিছিয়ে রাখে। বিএনপির রাজনৈতিক-সাংগঠনিক ছত্রখান অবস্থায় ডক্টর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যখন ঐক্যফ্রন্ট হয় তখন দলটি যে নতুন ফেস সেভিংসের সুযোগ পায়। আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না’র মতো নেতা এখানে আসায় এক শ্রেনীর মিডিয়ায় বিষয়টি সাড়া ফেলে। নির্বাচনে গেলে এই জোট চোখ বন্ধ করে দু’শোর বেশি আসন পাবে, আওয়ামী লীগ তিরিশটি আসন পায় কিনা এমন বলাও শুরু করেন বিএনপি-জামায়াত জোটের একাধিক টকশো বিশারদ। ব্যারিষ্টার মওদুদ বলতেন খালেদা জিয়া একদিন জেলে থাকা মানা বিএনপির প্রতিদিন দশ লাখ করে লোক বাড়ে! এসব যে শুধুই কথার কথা ছিলো, এসব যে তাদের শুধু দিবাস্বপ্নই ছিলো, তা ভোটের ফলাফলে চিহ্নিত হয়েছে।
এই নির্বাচনে বিএনপি জোটের প্রাথমিক ভুল অথবা ছেলেমানুষি যেটি ছিল তাহলো আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন একটি দল, যে দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন হয়েছে, যে দলটি গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায়, এ দলটির যে দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মী-সমর্থক আছেন, এসবকে এরা গোনায়ও ধরেননি। ডক্টর কামাল, আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না এরা দেশজুড়ে পরিচিত নেতা, কিন্তু রাজনীতিক হিসাবে, রাজনৈতিক দলের নেতা হিসাবে এরা চিহ্নিত ব্যর্থ। এদের কোন নিজস্ব জনবল নেই। এরা বিএনপির ঘাড়ে চড়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের জোরে, বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক-ভোট ব্যাংককে ব্যবহার করে এমপি হতে চেয়েছিলেন। ধানের শীষে এমপি হবার লোভে এই সুযোগে সাবেক আওয়ামী লীগার অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এরা এসে গণফোরামে যোগ দেন। রব-মান্না-কাদের সিদ্দিকী-রেজা কিবরিয়া প্রতিদিন আওয়ামী লীগকে উড়িয়ে-তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন। পরিবর্তিত রাজনীতির কথা বললেও এসব কারনে ভোটাররা এদেরকে ইতিবাচক হিসাবে আস্থায় নিতে পারেননি।
আওয়ামী লীগ এক বছরের বেশি সময় ধরে নিজের মতো করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। ক্ষমতায় থাকায় নানা সংস্থা দিয়ে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রিয় প্রার্থী সহ নানাকিছুর জরিপ চালাচ্ছিল। দেশেবিদেশি বিভিন্ন জরিপ সংস্থা দিয়েও জরিপ চালিয়েছে সরকারি দল। আর ঐক্যফ্রন্টটি গঠিতই হয়েছে বেশ দেরিতে। প্রার্থী নিয়েও নানা সমস্যা হয়েছে এ জোটে। মামলা-ঋনখেলাপি সহ নানাকিছুর কারনে প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী রাখতে হয়। ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর আসন দেয়া নিয়েও টানাপোড়েন চলে বেশ কিছুদিন। কিন্তু প্রার্থী যখন দেয়া হলো তাতে চমক কিছু দেখা গেলোনা। অথচ সরকারি দল ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মোর্তজা, বাগেরহাটের শেখ তন্ময়, নায়ক ফারুকের মতো চমকের প্রার্থী দিয়েছে। বিতর্কের কারনে ঢাকায় জাহাঙ্গীর কবীর নানক, কক্সবাজারে বদি, চাঁদপুরে মায়া’র মতো নেতা-এমপিকে প্রার্থী করেনি। তারকা শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার কার্যক্রম ছিল সংগঠিত। বিএনপি জোটের প্রার্থী নির্বাচনে এর ছিটেফোটাও ছিলোনা। উল্টো দলটির মনোনয়ন নিয়ে মনোনয়ন বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের তীরটি ছিল তারেক রহমানের দিকে।
নিবন্ধনহীন যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সম্পর্ক থাকবেনা এ ঘোষনা ছিল ডক্টর কামাল হোসেনের। তিনি বলেছিলেন লন্ডনে বসবাসরত তারেকের সঙ্গের কোন সম্পর্ক থাকবেনা নতুন জোটের। কিন্তু বাস্তব দেখা গেছে ভিন্ন। জামায়াতের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হলেও এ নির্বাচনে দলটির নিবন্ধন না থাকা স্বত্ত্বেও বিএনপি পরিচয়ে তাদের ধানের শীষে প্রার্থী করা হয়। জামায়াতকে আসন দেয়া হয় ডক্টর কামালদের চেয়ে বেশি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ডক্টর কামাল ক্ষেপে গিয়ে বলেন ওই সাংবাদিককে তিনি চিনে রাখবেন। ভবিষ্যতে দেখে নেবেন! এরপর খামোশ বলে শাসান! এটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। টিভি চ্যানেলগুলো ডক্টর কামালের এই শাসানি নিয়ে আলাদা ট্রল করে বারবার দেখাতে থাকে। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে ভারতীয় পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ডক্টর কামাল বলেন জামায়াত এখানে আসবে জানলে তিনি এই ঐক্যফ্রন্টের দায়িত্ব নিতেননা। এসব বিষয় ভোটে প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে নতুন তরুন ভোটারদের মধ্যে। কারন গত দশ বছর ধরে এরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান সহ নানাকিছু দেখতে দেখতে এটিকে ধারন করেছে হৃদয়ে। ডক্টর কামালের আরেকটা বৈপরীত্য সবাই দেখেন। কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর কথা তিনি বলেন, কিন্তু যাদের পাশে নিয়ে বলেন সেই বিএনপি নেতারা তা কখনো বলেনা। বঙ্গবন্ধুকে অউন করেনা।
ভোটের প্রতিযোগিতায় নানাকিছুতে স্পষ্ট হচ্ছিল বিএনপি-জোটের নির্বাচনী কোন প্রস্তুতিই নেই। নির্বাচনী ইশতেহার যেটি দেয়া হলো এটি ছিল দায়সারা। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে এর মিশন-ভিশন স্পষ্ট ছিল। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির ইশতেহারে ভোটারদের বিশেষ করে তরুনদের আকৃ্ষ্ট করার বিশেষ কিছু ছিলোনা। ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখা হবে। বিএনপির ইশতেহারে তা খুব স্বাভাবিক এড়িয়ে দেয়া হয়। বিএনপির ইশতেহারের মূল সুর ছিল খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের সম্মান রক্ষা। এর আবেদন বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে থাকতে পারে। কিন্তু সাধারন ভোটারদের মধ্যে এর আবেদন-প্রভাব থাকবে কেনো। তারাতো কাজ করে খায়। আরও ভালো কাজ করতে চায়। কোটা সংস্করন আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে মনে করা হচ্ছিল বিএনপি ভোটে ক্যাশ করবে। কিন্তু তাদের ইশতেহার সহ নানাকিছুর স্ববিরোধিতা-দোদুল্যমান ভূমিকার কারনে তারা তা পারেনি। আজকের যুগের মানুষেরা বিশেষ করে তরুনরা ইতিবাচক বিষয়গুলোকে পছন্দ করে। কিন্তু বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নানাকিছুতে ছিল নেতিবাচক ছায়া।
আওয়ামী লীগ দশবছর ধরে ক্ষমতায়, এর প্রার্থীরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রমী প্রচারনা চালাচ্ছিল, ঢাকাতে মির্জা আব্বাস, মিসেস আব্বাস, ডেমরার সালাহউদ্দিন ছাড়া আর কোন প্রার্থীর ক্ষেত্রে তা দেখা যায়নি। ঢাকার অনেক প্রার্থীকে ভোটাররা দেখেনি। নামও জানতোনা। বিএনপি শুরু থেকে দাবি করা শুরু করলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। কিন্তু এটি যে তাদের পাওয়ার সময় এবং বাস্তবতা ছিলোনা। বলা শুরু হলো তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। বাংলাদেশে এসবের বাস্তব অবস্থা আছে। কিন্তু নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিরা সাধারনত কী করে। আবার পোস্টার লাগায় না হাত গুটিয়ে বসে থাকে? কেউ হামলা করলে পুলিশ হয়রানি করলে যার জনসমর্থন আছে সেতো মানুষকে নিয়ে রুখে দাঁড়ায়। অথচ ভোটাররা দেখলো বিএনপির পলায়ন মনোবৃত্তি! ভোটাররা তা পছন্দ করেনি। বিএনপিকে আস্থায় নিতে পারেনি। অমুক দিন থেকে প্রশাসন আর আওয়ামী লীগের কথা শুনবেনা। সেনাবাহিনী নামলে এই হয়ে যাবে সেই হয়ে যাবে, মানুষ ভোট দেবার সুযোগ পেলে ভোট বিপ্লব হয়ে যাবে, ইত্যাদি নানা ঘোষনা শুধু গর্জনেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। আওয়ামী লীগের গ্রাসরুটকে বিএনপি বরাবর অবজ্ঞাও করেছে। সবমিলিয়ে কোন কিছুতেই বিএনপি-জোট ভোটারদের আকৃ্ষ্ট করতে পারেনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রচারনায় দৃশ্যমান উন্নয়ন ছিল গুরুত্বপূর্ন। বিএনপি-জোটের প্রচারনার মূলে ছিল পরিবর্তন। পরিবর্তন হলে কী হবে তা স্পষ্ট করতে পারেনি বিএনপি জোট। সে কারনে ভোটাররা তাদের পক্ষ নেয়নি।
ভোট প্রতিযোগিতায় আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে বিএনপির প্রার্থীরা যেমন প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের মতো ভোটারদের ঘরে ঘরেও যায়নি। একটা ঘটনা বলি। এক প্রার্থীর মেয়ে থাকেন সিডনিতে। নির্বাচন উপলক্ষে সেই মেয়ে স্বামী-সন্তান এবং হাতের জমা টাকা সহ নির্বাচনের কাজ করতে দেশে চলে গেলেন। দেশে যাবার পর থেকে তারা দিনেরাতে উঠোন বৈঠক সহ প্রচারনার কাজ করেন। সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি আমাকে বলেছেন প্রচারনায় প্রতিদিন তাকে আট-দশ কিলোমিটার হাঁটতে হয়। মতিয়া চৌধুরী সহ আরো অনেক প্রার্থীকেও এভাবে এমন পরিশ্রমী প্রচারনা চালাতে হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল প্রচারনায় এমন সিরিয়াস ছিল আর বিএনপি-জোটের এমন সিরিয়াসভাব কী কেউ দেখেছে? বেশিরভাগ আসনেই বিএনপি-জোটের প্রার্থীরা পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত দেয়নি বা দিতে পারেনি। প্রথম বললো পোলিং এজেন্টদের তালিকা করলে পুলিশ তাদের ধরে ফেলবে। কিন্তু পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষনসহ তাদের সঙ্গে আর্থিক বিষয়ও জড়িত। ভোটের আগে যে টাকার চালান ধরা পড়েছিল তাতে কী টাকার সমস্যা ধরা পড়েছিল? ভোটের দিন বিএনপি অভিযোগ করলো বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের পোলিং এজেন্ট বের করে দিয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই অভিযোগ সত্য হতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে কেন্দ্রে এজেন্টও যায়নি। বা গেলেও এক পর্যায়ে চলে এসেছে। এরসব কিছু কী ছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে করা হয়েছে?
নির্বাচনের দিন দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে সবাই দেখলো ভোটারদের লম্বা লাইন। ভোটার এলেই বিএনপির পক্ষে ভোট বিপ্লব হবে বলা হয়েছিল। এই লাইনে দাঁড়ানো বিশাল ভোটারদের ভোট কেনো গেলোনা বিএনপির পক্ষে? কেনো ভোটারদের আস্থায় যেতো পারলোনা বিএনপি? বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য যখন যে দল ভোটে হারে সে কারচুপির অভিযোগ করে ভোটারদের অপমান করে যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। বিজিত দল কোনদিন বিজয়ীকে অভিনন্দন জানায়না। বাংলাদেশের নির্বাচনে কারচুপি আছে। কিন্তু শুধু কারচুপি করে কী নির্বাচনে জেতা আজকের ফ্রি মিডিয়ার যুগে সম্ভব? প্রতিটা কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে যে হাজার হাজার নারী পুরুষ-নতুন ভোটাররা ভোট দিলো এদের ভোটের কোন মূল্যই কী নেই? আসলে রোববারের নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ যেমন হতভম্ভ, বিএনপিও হতভম্ভ। শুধু অভিযোগ না করে দলটি যদি এর কারন অনুসন্ধান না করলে এর করুন পরিনতি দলটিকে ভোগ করতেই হবে। এমন বিশাল বিজয়ের পর বিজয় উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শেখ হাসিনা দায়িত্বশীল নেত্রীর পরিচয় দিয়েছেন। বিশাল বিজয় এবং এই দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্যে তাকে অভিনন্দন।