অনলাইন ডেস্কঃ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫
বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) দুশ্চিন্তা আজকের নয়। এই দুশ্চিন্তায় তারা সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর বাতিলও করেছে। এবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বুঝতে আজ ও আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য নিরাপত্তা বৈঠকে উপস্থিত থাকবে সিএ প্রতিনিধিরা।
আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এই দু’দিন আইসিসি প্রতিনিধিদের ধারণা দেয়া হবে। যদিও এই টুর্নামেন্ট নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা এখনও প্রকাশ করেনি সিএ; তবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই নিরাপত্তা বৈঠকে উপস্থিত থেকে ধারণা নেবে। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বলছে, এটা নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। তারপরও সিএ প্রতিনিধিদের এই আগ্রহ একটা কৌতূহল তৈরি করেছে বৈকী!
গত সেপ্টেম্বরে সিএ-এর নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান শিন ক্যারল ঢাকা ভ্রমণ করেনি। তার ভ্রমণের আগেই অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশে তার নাগরিকদের ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছিলো। পরে ক্যারলের রিপোর্ট অনুযায়ী, অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সফর বাতিল করা হয়। তার বদলে জিম্বাবুয়ে এসে ওয়ানডে সিরিজ খেলে যায়। এবারও সেই ক্যারল আজ এসে পৌঁছাচ্ছেন সিএ প্রতিনিধি হিসেবে।
আইসিসি ইতিমধ্যে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দুই দফা বৈঠক করেছে ঢাকায়। বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনেছে তারা। এ ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজারের মোট আটটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনাও শুনতে চাইবে তারা আজ ও আগামীকাল।
আইসিসিএর একজন প্রতিনিধি বলেছেন, আজ ও আগামীকালের বৈঠকটি মূলত গত দুটি বৈঠকের ফলোআপ হিসেবে কাজ করছে, ‘এই ইভেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইসিসি ও বিসিবি যৌথভাবে কাজ করছে। এই সম্পর্কিত সর্বশেষ দুটি বৈঠকের আলোচনার ফলোআপ করতে এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ধারণা পেতে সিএ ও আইসিসি কর্মকর্তারা ঢাকা ভ্রমণ করবেন এবং বৈঠকে অংশ নেবেন।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন অবশ্য বলেছেন, সিএ-এর মতো প্রতিনিধি পাঠানোর কাজ ইতিমধ্যে আরো দুটি বোর্ড করেছে। ফলে এটাকে তিনি নিয়মিত ঘটনার অংশ হিসেবেই দেখছেন, ‘আইসিসির সর্বশেষ সফরে রেগ (ডিকাসন) এসেছিলেন সম্ভবত ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পক্ষ থেকে। বোর্ডগুলোর এই ধরনের পর্যবেক্ষণের একটা অংশ তো নিরাপত্তা থাকেই। ফলে সিএ রুটিন হিসেবেই যে কাউকে পাঠাতে পারে।’
একই সাথে সুজন বলছেন, এই বোর্ডগুলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মতো সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করে না। এটা আইসিসির মাধ্যমে হয়, ‘আমাদের সাথে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর বোর্ডের সাথে এ বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগ হয় না। তাদের এটা হোস্টের সাথে (আইসিসি) যোগাযোগ করতে হয়। একমাত্র দ্বিপাক্ষিক সিরিজেই দুই বোর্ডের সরাসরি যোগাযোগ হয়।’
তবে ঘটনা যা হোক, বিসিবির প্রধান নির্বাহী আশাবাদী স্বাগতিক দেশ হিসেবে তারা ‘নজিরবিহীন’ নিরাপত্তা দিতে চান এই টুর্নামেন্টকে, ‘স্বাগতিক হিসেবে টুর্নামেন্ট সফল করাতেই আমাদের মনযোগ। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ এই ইভেন্টকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা দিতে চাই। কোনো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আগেও এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; আমার সন্দেহ আছে, ভবিষ্যতেও নেয়া হবে কি না।’ ( সুত্রঃ ইত্তেফাক)