১। অবেলায়
বিদ্যুৎ কেটে কেটে ছিড়ে ফেলে প্রায়,
বেদনায় চুর চুর এই মেঘলায়;
রংধনু উকি দেয়, ধলে পরে গায়,
উপহাসে রদ্দুর এই অবেলায় ।
২। ক্লান্ত পৃথিবী
পৃথিবীর চক্রে আমি ঘুরছি, অবিরাম একি পথে ঘোরাই আমার কাজ
সূর্যের সাথে ডেইলি মিটিং , চাঁদের সাথে মান্থলি মিটিং , ঘুরতে আমাকে হবেই ।
দুঃখ নেই, বৃহস্পতি আমার চেয়ে বড়, বুধ আমার চেয়ে দগ্ধ,
শনির কি সুন্দর পাখনা । ওরাও আমার মত একি পথে ঘুরছে, যার যার চক্রে ।
এক সেকেন্ড থামলেই হবে সর্বনাশ, তোমদের চোখের অগোচরে আমি ধীরে ধীরে ধীর হয়ে যাই,
যতটুকু আমাকে মানায়, আমি অবসর চাই।
বুকের ভিতর লাভা গুমরে উঠে, সব কষ্ট উগ্লে বের না হয়ে যায়,
আমার সম্পদ আমার ঝর্ণা, আমার সমুদ্র, আমার মরুভূমি,
দেখে নিও, আমি চীর সুন্দরী রবো,
আমি ঘুরবো, ঘুরবো, আমি ঘুরবোই ঘুরবো ।
৩। ব্যর্থতা তোমার (ইয়র লস)
ভালবাসার সমুদ্রে হত দরিদ্র তুমি,
শতাব্দীর পোড় খাওয়া ভালবাসা সবার জন্য নয়
ভালবাসতে হলে ভাল মানুষ হতে হয় ।
মহাসমুদ্রে সাতার কেটে, সীমান্ত থেকে সীমান্ত হেঁটেও তুমি বুঝবে না ভালবাসাকে, চিনবেনা আমাকে
আমার ভালবাসা, ভালবাসার জন্য, তোমাকে কি তা সাঁজে?
অথচ তোমার ভালবাসার পুকুরে আমার সেই স্নান, আমার সে ভালবাসা বয়ে নদী হয়ে এক সমুদ্র,
তাতে সাঁতার কাটার সাহস তোমার কই?
মনে মনে তোমার নাম এতবার ডেকেছি, স মস্ত জীবনেও তুমি এত ডাক শুননি,
আমার সব ক্ষোভ, লোভ, মায়া আর কষ্ট দিয়ে আজ আর একবার বলি – তুমি যেন ভালো মানুষ হও ।
৪। তোমাদের চোখে শূন্য
অদৃশ্য প্রেম করে না ভিন্ন,
অদৃষ্ট স্রষ্টা রাখে কি সচিহ্ন?
অসীমতা নয় শুন্য
ভালবাসা কার পূর্ণ?
পূর্ণতায়ই কি পূর্ণ ।
৫। তোমরা কি বলো?
কাল ভালবাসার পরীক্ষার রেজাল্ট পেলাম ।
তুমি এক পাতায় পেয়েছ একশো আর অন্য পাতায়ও একশো,
আমি এক পাতায় পেয়েছি শূন্য আর অন্য পাতায় ইনফিনিটি ।
কে পাশ কে ফেল ঠিক বুঝতে পারছি না ।
তুমি ভাবছো তুমি পাশ করেছো, আমি ভাবছি আমি ফেল করিনি ।
তুমি তোমার গন্তব্যে, আর আমি – ঘুরছি অসীমে ।
৬। ডাক
একবার ডেকে দেখো, আমি যাবো না
আবার ভালবেসে ফিরাতে চাও, আমি আড়ালে জ্বলবো না ।
বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস আটকে রাখবো, তবু তোমার বাতাসে নিঃশ্বাস নেবনা ।
দামী নীল রঙে গড়া আমার আকাশ, তাতে সুখ দুঃখের ছিটে ফোটাও নেই ।
তোমার ওই ঘোলাটে আকাশে আর আশা নিরাশার পাখা মেলবো না ।
ভয় পেওনা, আমি যাবো না ।
বিধাতা অকার্পণ্যে রং ঢেলেছে আমার বাগানে, তোমার ফুলে পুরনো রং,
পুরনো শোক, পুরনো সুখ, সে ফুলের ঘ্রান আমি নিব না ।
বিশুদ্ধ বাতাসে দম আটকে রাখবো, তবু তোমার শ্বাসে শ্বাস নেবনা ।
তবু, শুধু একবার ডেকে-ই দেখো না ……
৭। ঈর্ষা
কি-ই…সরলতা, কি-ই…মাদকতা, এত কি… সুন্দরী তুমি,
তোমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেঁড়ে গেছি কেন আমি ।
তোমার মধ্যে এমন কি আছে, আমার মধ্যে নাই,
আমার প্রেমিক তোমার ভিতর এত কি প্রেরণা পায়?
তোমার চেয়ে বেশি ভালোবাসি,
বিদ্যা বুদ্ধি সব কিছু বেশি ।
সেই একই হাসি, একই উচ্ছ্বাসী,
কোথায় পিছিয়ে যাই…
কাঁপা কাঁপা সরে উত্তর দিলে – “তেমন কিছুই নয়,
তোমা আমা মাঝে ব্যবধান শুধু বিশ বছরের ক্ষয়” ।
বুকে টেনে নিয়ে বললাম আমি – “বড় কেন হলি সই”?
৮। “ইয়াং ওয়ারিঅর”
ইভানা অর্থ “ইয়াং ওয়ারিঅর”
মাথায় গুপ্ত ধাঁর,
যুদ্ধর সালে জন্ম আমার,
যোদ্ধা – ‘স্যজিটরিয়াস’।
কে আছে শক্ত দমাবে আমাকে, ঘাড়ে কত মাথা কার,
মাথা দিয়ে আমি রাত দিন করি, ঠেকাই বর্ণবাদ ।
যুদ্ধ আমার মাকে দেখে শেখা,
প্রেরণা আজো… সে আমার,
অন্যায় আমি কেটে কুটে ফেলি, আছে শাণ তলোয়ার ।
বিদ্রোহ আমার শক্তি সাহস, ভ্রুনে লেখা সংগ্রাম,
অসমতা ভেঙে তোলপাড় করি, লড়াই ক্ষচিত নাম ।
৯। অন্য পা ওপারে
তোমার ভাষায় শুনতে পেতাম গল্প শত শত ।
বলতে তুমি তোমার রাজ্যে মানে কি কেউ স্রষ্টা,
রোদ বৃষ্টি, মারামারি, খাওআ-খায়ি – ই কি সবটা?
গ্রহ তারা বিশ্ব কি হায়, বিন্দু হয়ে দুলছে গলায়?
লোভী মানব সব কিছু চায়? পথভ্রষ্টা আর বুদ্ধু সবাই?
রাখো ভাষা, শব্দদুশন; চল, মাথায় মাথায় বার্তা চালাই,
স্বর্গ নরক রহস্য সব অংক কষে বের করে দেই ।
এমন যদি হতো, আমার চোখে তোমার জগত স্পষ্ট দেখা দিতো ,
‘এপার ওপার’ উড়োজাহাজ কোথায় নিয়ে যেতো!