রিশার কবিতা

রিশার কবিতা

 

সে আসে এবং থাকে

অজুত নিজুত বছর ধরে

ঘাড়ে গতরে শেওলার ফাঁকে ফাঁকো

একটু রোদ – একটু জোসনা নরম.

ক্যালরি মাপা সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক

প্রেমের হামদর্দ আগর বাত্তি.

 

এই বার আসে গয়নার ক্যাটালগ বইয়ের

ভেতর থেকে মেঘ কুয়াশায় মাখামাখি হয়ে.

বুকের মধ্যে বাঁধা থাকে বদ্ধ পাগলের

জট লাগা চুলের পুরান গিট্টু.

ঘোড়ার পিঠে ছন্দের বেগে স্বেচ্ছাচারী

গমন এবংআগমন.

আগমন এবংগমন.

ঠিক বেঠিকের মাথাব্যাথাহীন পথ.

আহ্লাদী গুহার লোনা জলের পথ.

 

আরেক বার আসে সে

পিঠের ব্যাগে ভীষন গোস্বার ছোট্ট

এক টুকরা রাবার নিয়ে.

মন ভিজে যায় পিকনিক পয়েন্ট এর

ভাটা জোয়ারের ঘোলা জলে.

ওয়াটার বাইকের কচলানো লেবু রসের

তেতো স্বাদ আমি খুব উপভোগ করি

দাঁতে এবং মাড়িতে লেগে থাকা

লেবু লেবু স্বাদ.

সন্মুখে এবং পশ্চাদে

ডানে এবংবামে

উপরে এবংনিচে

মেঘনা ডাকাতিয়ার মিলনমুখের

মাজারের লালসালু পতাকার মত ওড়ে.

আমার আঙ্গুলের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়

উননব্বই ডলার জিএসটি ইনক্লুডেড.

 

এবার সে এসেও আসেনা

থেকেও থাকে না.

বাতিঘরের নাক বরাবর

পয়গম্বরের লাঠির মত সরল সোজা

সমুদ্রের ভেতর দিয়ে হাটবার পথ.

মোটা কাঠের ত্রিভুজ চতুর্ভুজের

মাথায় একটা লাল সৌরবাতি.

বিদিশা নাবিকের দিশার বাতি.

বাতির আলোতে আয়নায় নিজেকে

দেখি – দুরবিন দিয়ে দেখি –

অনুবীক্ষণ যন্ত্রের আতস কাঁচের নিচে রেখে

নিজেকে দেখি.

সে তখন অনিমেষ অর্কর মাধবীলতা

হয়ে যায় – কালবেলা কালপুরুষের

পাতায় পাতায় কয়লায় আঁকা ঘন পাঁপড়ির

ঢেউ তোলা চুলের মনোবিজ্ঞানী মাধবীলতা.