সিডনির লাকেম্বাতে নতুন মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভ নিতে মানববন্ধন

সিডনির লাকেম্বাতে নতুন মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভ নিতে মানববন্ধন

 

শনিবার ৬’ মার্চ বিকেলে সিডনির বাংলাদেশিদের এলাকা বলে পরিচিত লাকেম্বাতে, বেলমোরের পিলপার্কে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্তম্ভ নিয়ে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন সিডনির আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

গত ২১ ফেব্রুয়ারী সিডনির বেলমোরে ক্যান্টাবুরি -ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশী কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু এবং কাউন্সিলের মেয়র খাল আফসোর এর উপস্থিতিতে লেবার পার্টির ফেডারেল এমপি টনি বার্ক সিডনির দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভটি উম্মোচন করেন। কোভিড-১৯ এর নিষেধাজ্ঞার কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি খুবই সীমিত পরিসরে করা হয়েছিলো।

নতুনভাবে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভ মূল নকশা থেকে ভিন্ন, বিকৃত, বাংলাদেশের শহীদ মিনারের আদলে নয়’ ইত্যাদি বিষয়ে নাখোশ মনোভাব প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশী কমিউনিটির কিছু মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ধীরে ধীরে সুসংগঠিত হয়ে বিকৃত স্মৃতিস্তম্ভটি নিয়ে ফেসবুকে নানা মতামত দেন এবং লাকেম্বাতে জড়ো হয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের পক্ষেও অনেক মতামত আসতে থাকে। এই নিয়ে বাংলাদেশী নির্বাচিত কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা ও প্রাক্তন কাউন্সিলর টিটু ফেসবুক লাইভে এসে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

গত ২ মার্চ লাকেম্বার ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে “এই স্মৃতিস্তম্ভ আমরা চাই না ” শ্লোগান দিয়ে বাসভূমি একটি প্রতিবাদ ও নিন্দা সভা ডাকেন যাতে অংশ নেন প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার, বিএনপি অস্ট্রেলিয়া, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া (পুরাতন কমিটি), জিয়া ফোরাম অস্ট্রেলিয়ার কিছু নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের মধ্যে সিডনি প্রেস এন্ড মিডিয়া কাউন্সিল, স্বাধীন কণ্ঠ, বিজয় কন্ঠ ,সিডনি প্রতিদিন, হক কথার প্রতিনিধিগণ।

বিক্ষোভকারীরা ৬ ই মার্চ লাকেম্বায় মানববন্ধন ডাকেন এবং একই দিনে একই সময়ে কাউন্সিলের পক্ষে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ কমিটিও বেলমোরের পিলপার্কে একটি চা চক্র ডাকেন। কমিউনিটির বিভক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবার আশংকায় দু’পক্ষই একটি আলোচনায় বসেন এবং শর্তসাপেক্ষে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করবেন বলে একমতে পৌঁছেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের অনেকেই এই মানববন্ধন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিলে শান্তিচুক্তি রক্ষা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। অবশেষে ৬ ই মার্চ শনিবার এই মানববন্ধন যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়।
এই মানববন্ধনে বেলমোরের নতুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভে পরিবর্তন আনার পক্ষে মতামত দেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। অবশ্য এই প্রতিবাদ সভায় কাউন্সিলের কোন নেতৃবৃন্দকে দেখা যায়নি।