অনলাইন ডেস্কঃ ২৫ জুলাই ২০১৫
স্বপ্নের নায়িকা সুচিত্রা সেন। তার গ্রীবা, কটাক্ষ, চোরা চোখ- ছলকে ওঠে প্রেম কিংবা বিরহ, অভিব্যক্তি, আচরণ, আবেদন কিংবা দেহসৌষ্ঠব- আজও অনন্য মহানায়িকা। ১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। সফল ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়ে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের অাড়ালে চলে যান। এমনকি লোকচক্ষুর অন্তরালে হারিয়ে যান সুচিত্রা সেন। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হন, কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতেও রাজি হননি তিনি। তার অন্তরালের জীবন যাপনের ছবি প্রথমবারের মত প্রকাশিত হয়েছে।
নাতনী রাইমা সেন প্রকাশ করেছেন এসব ছবি। ১৯৯৪ সালে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে চেয়ারে বসে আছেন তিনি, বয়সের ছাপ পড়লেও অটুট সৌন্দর্য্য এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্টে অনন্য মহানায়িকা।
রাইমা তার দিম্মার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন- ‘এটা দিম্মাই। আপনাদের সুচিত্রা সেন। এই দিম্মাই তো আমার ছোটবেলার দিম্মা। সত্যি এক ছবিতেই কত স্মৃতি। দিম্মার এই ছবিটা সেই সময়কার, যখন দিম্মা নিজেকে একেবারে সরিয়ে নিয়েছিল। তাই এই দিম্মাকে সত্যি এত দিন খুব কম মানুষই দেখেছেন।
সেই সময় আমরা হ্যারিংটন ম্যানসনে থাকতাম। আর দিম্মা থাকত বালিগঞ্জে। শুক্রবার বিকেলে স্কুলের ছুটি হলেই আমরা গাড়ি করে সোজা দিম্মার বাড়ি। আমাদের বাকি সব কাজিনও চলে আসত উইকএন্ড কাটাতে। মায়ের ছোট মাসির মেয়েরা, তৃণা, লগ্না— এরাই ছিল আমার আর রিয়ার খেলার সঙ্গী।
যে চেয়ারটা দেখছেন ছবিতে, সেই চেয়ারটা ছিল দিম্মার সবচেয়ে প্রিয়। ছোটবেলায় মনে আছে, ওই চেয়ারে চড়ে আমি দিম্মাকে কত ধামসেছি, আদর করেছি, চুমু খেয়েছি… এই চেয়ারের মাথার পিছনেও উঠতাম আমরা। আর দিম্মা আমাদের সাবধানে নামিয়ে দিত। আজ এত বছর পর এই ছবিটা দেখে তাই বুকের ভিতরটা হুহু করছে।’ ( সুত্রঃ প্রিয়.কম)