‘যোদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদের ফাঁসী’ ৭১ এর দায়মুক্তি

‘যোদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদের ফাঁসী’ ৭১ এর দায়মুক্তি

বাংলাদেশ  আরো একবার প্রমান করল সাবাস বাংলাদেশ, জ্বলে পুড়ে ক্ষয় তবু মাথা নোয়াবার নয়। পৃথিবীর কতিপয় শক্তিশালী রাষ্ট্রের ক্রমাগত চাপ, যোদ্ধাপরাধীদের সকল প্রকার কূটকৌশল  ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ২২ নভেম্বরের প্রতুষ্যে  ১২টা ৫৫ মিনিটে পাশাপাশি মন্চে বহুল আকাংখিত দুই যোদ্ধাপরাধীর ফাঁসী কার্যকরের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হল ৪৪ বছর পুর্বে জাতীকে মেধাশুন্য করার লক্ষ্যে পরিকল্পিকভাবে  বুদ্ধিজীবি হত্যাসহ অনেক হত্যাকান্ডের বিচার।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ্রের বিরুধীতা করে তৎকালীন কনভেনশন মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং তার ছেলে পাপিষ্ঠ সাকা চৌধুরী চট্রগ্রামের রাউজানে মুক্তিযোদ্ধা এবং হিন্দু নিধনে মেতে উঠেছিল। জামাতের অংগ সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের ১৯৭১ সভাপতি ফরিদপুরের মুজাহিদ আল্ বদর বাহীনী গঠন করে হানাদার পাক বাহিনীর সহযোগী হয়ে পরিকল্পিত হত্যাযংগে মেতে উঠেছিল। স্বাধীনতার উষা লগ্নে এই আলবদর বাহিনী জাতীকে মেধাশুন্য করার লক্ষ্যে অনেক বুদিধিজীবিকে হত্যা করে রায়ের বাজারের বধ্য ভুমিতে ফেলে দেয়।

যে স্বাধীন রাষ্ট্র তারা চায়নি বরং বিরুধী ভুমিকায় অবতীর্ন হ্য়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ঠে বংগবন্ধু’র নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তিযোদ্ধা  নামধারী মরহুম জিয়া উর রহমানের নীলনকশায়  সেই দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়ে তারাই আবার স্বাধীন রাষ্ট্রের মার্যাদাপুর্ন পদে অধিষ্টিত হয়ে ‘৭১ এর কৃতকর্মের জন্য কোনরুপ অনুশোচনার পরিবর্তে দাম্ভিকতাপুর্নভাবে সাফাই গেয়েছে  অতীত ভুমিকার জন্য। ফলে দিনের পর দিন এ দেশের মুক্তিপাগল মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমা হতে হতে শেষ পর্যন্ত তা রুপ নিয়েছে অগ্নি স্ফুলিংগ হয়ে যোদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে।

আধুনিক তথ্য প্রবাহের যুগে নুতন প্রজন্ম জেনেছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস। এই ইসু্যতে বিএনপি- জামাতের মিথ্যা প্রপগন্ডার রাজনীতি গ্রহনযোগ্য হয়নি এ দেশের মানুষের কাছে। জনগনের ক্রমাগত দাবীর ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় যোদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল এবং এই ট্রাইবুনালের রায় কার্যকরে অবিচল নির্ভীক জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এবং দৃঢ় চিত্ত দেশের প্রতিটি মানুষ। এই বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে দায় মুক্তির পথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। লক্ষো শহীদের রক্ত ও মা বোনের ইজ্জতের ঋন পরিশোধ যোগ্য না হলেও অপরাধীদের শাস্তি প্রদান ইতিহাসের বড় দাবী। ইতিহাসের এ দাবী আদায়ে ষোল কোঠি বাংগালী আজ সংকল্পে এক্যবদ্ধ অতন্দ্র প্রহরী। রাজাকার, আল্ বদর ,যোদ্ধাপরাধী আর জামাত-শিবির মুক্ত সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ আজ আর কোন স্বপ্ন বা রুপকথার গল্প নয় বরং অতি বাস্তবের দ্বার প্রান্তে।

RafidUddin

 

 

মোঃ রফিক উদ্দিন

সাধারন সম্মাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া