যদি বাপের মেয়ে হই, এর শেষ দেখতে চাই

যদি বাপের মেয়ে হই, এর শেষ দেখতে চাই

অনলাইন ডেস্কঃ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ধৃষ্ঠতাপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে চাইছেন একাত্তরের শহীদ শিল্পী আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এখন আর বক্তৃতা বিবৃতি, মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদের সময় নেই। এখন সরাসরি এবং সামনাসামনি লড়াই করতে চাই। যদি বাপের মেয়ে হই, এর শেষ দেখতে চাই।

শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের নিয়ে গয়েশ্বরের চন্দ্র রায়ের বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে শাওন মাহমুদ বাংলামেইলকে শনিবার দুপুরে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গয়েশ্বর সাহেবের কথাটা শোনার পর থেকে আমি ঘুমাতে পারছি না। আমি সশরীরে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। জিজ্ঞেস করতে চাই এ ধৃষ্ঠতা তিনি কোথা থেকে পাচ্ছেন। কিন্তু আমি তার ঠিকানা জানি না। দয়া করে তার ঠিকানা দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করবেন।’

গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হওয়া উচিত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন শাওন মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে আর বক্তৃতা বিবৃতি, মানববন্ধন করে লাভ নেই। এবার লড়াইটা করতে হবে সামনা-সামনি। নতুন প্রজন্মকে এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে।’

শাওন বলেন, ‘কেউ যদি এ লড়াইয়ে না-ও নামে, আমি একাই লড়বো। কারণ আমি বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছি। প্রয়োজনে আমি একাই এ এলড়াই চালিয়ে যেতে চাই।’

এদিকে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে গয়েশ্বরের বক্তব্যের পর শাওন মাহমুদ গতকাল রাতেই ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘গয়েশ্বরের ঠিকানা চাই। কেউ এ ব্যাপারে সাহায্য করলে বাধিত থাকবো। ওর সাথে সামনা-সামনি কথা হবে। মানববন্ধন আর প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদের নিকুচি করি। কেউ না গেলে আমি একা যাবো।’

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিতর্কিত বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই একাত্তরে ১৪ ডিসেম্বর নিহত বুদ্ধিজীবীদের শহীদ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘১৪ ডিসেম্বর যেসব বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছে, তারা পাকিস্তানিদের হামলা ও বরবরতা সম্পর্কে জানতো। এমনকি শেষদিন পর্যন্ত তারা পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন, অফিসে গিয়েছেন এবং নিয়মিত বেতন নিয়েছেন। তাহলে তারা শহীদ হন কীভাবে?’

তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দেয়া নির্বোধের কাজ। তারা (বুদ্ধিজীবীরা) নির্বোধের মতো মারা গেলো, আর আমাদের মতো নির্বোধেরা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুল দেয়।’ ( সুত্রঃবাংলামেইল২৪ডটকম)