নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। আগামি ১৪ই এপ্রিল আসছে নতুন বছর ১৪২৩ বাংলা বর্ষ ।এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উৎযাপিত হয় নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী জাতির প্রাণের উৎসব।
এক সময় নববর্ষ পালিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। এই কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠাবাঙালী প্রজন্মকে জাতির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ওএর ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।
আগামী ১০ এপ্রিল (রবিবার) বিকাল ৪ টায় সিডনি বাঙ্গালী কমিউনিটি ইনক প্রতি বছরের মত এইবারও পালন করবে পহেলা বৈশাখ ইঙ্গেলবার্ন লাইব্রেরী সংলগ্ন কমিউনিটি হলে । এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফেডারেল এম পি লরি ফারগাসন, ম্যাকুরিফিল্ডের এম পি অনুলাক চাণ্টিভং ও ক্যাম্পবেলটাউনের এম পি গ্রেগ ওয়ারেন।
এছাড়াও মেলায় উপস্থিত থাকবেন প্রবাসীবাংলাদেশী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকনেতৃবৃন্দ, সিডনি থেকে প্রকাশিত অনলাইন ওপেপার পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকবৃন্দ, লেখক, সাহিত্যিক, কবি ও সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে শিশুকিশোর সহ সিডনির শিল্পীদের পরিবেশনায় বৈশাখের গান, দেশীও নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজক কমিটি সাদা/লাল/লাল-সাদা’র সমন্বয়ে দেশীও পোশাক পড়ে বন্ধু ও পরিবার পরিজন সহ সবাইকে বর্ষ বরন অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছেন।
ইলিশ, ভাত, ভর্তা ছাড়াও থাকবে রকমারি দেশিও পিঠাপুলির বাবস্থা।