গত ৫ই নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের এর উদ্যোগে হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রি ও বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সন্মানিত উপদেস্টা জননেতা আমির হোসেন আমু।
পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, যেই দিনটাকে পরবর্তীতে জেলহত্যা দিবস বলে সারাদেশে পালিত হয়। মানবসভ্যতার ইতিহাসে বেদনাময় ও কলঙ্কিত দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে এ হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির যাত্রা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী মহান মুক্তিযুদ্ধের চার সিপাহসালার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও আবু হেনা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা জাতীয় চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ‘৭১-র পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এ ধরনের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে বিরল। এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল বিশ্ব।
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি জনাব সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে এবংসভাপতি সাধারণ সম্পাদক পি এস চুন্নুর পরিচালনায় প্রথমে এক মিনিট নীরবতা পালন করে আলোচনা সভাটি শুরু হয়। আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, প্রবীণ আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক জনাব রণেশ মিত্র, সাংবাদিক ও বাসভূমি অনলাইন টেলিভিশন এর প্রধান আকিদুল ইসলাম,বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি শেখ শামীমুল হক,অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রথমেই ১৯৩৮ সল্ থেকে ১৯৭১ সল্ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের প্রতিটা অধ্যায় সবার কাছে সংক্ষেপে তুলে ধরেন। তিনি ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শিল্পনীতির জন্য সংগ্রাম ও প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার অবদান আলোকপাত করেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্য কবর খননের পরও পাকিস্তানি শাষকশ্রেণী তাদের আয়ত্ত্বে আনতে পারেননি এবং সর্বশক্তিদিয়েও প্রতিহত করার পর পরও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ বন্ধ করতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী চার নেতার জীবনের নানা ঘটনা এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অবদান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন ১৯৭১ সালে পরাজিতরাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করেন বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরিবর্তিতে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন জেলের মধ্যে।একই চক্র ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে জাতির জনকের বড় কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার মিশনে নেমেছিল। সে সময় যারা এসব ঘৃনিত করেছিলেন, তাদের উত্তরসূরীরা এখনো সক্রিয়। আগামীতেও তারা এই চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার ও সতর্ক থাকতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী তার মন্ত্রনালয়ের সহ বর্তমান সরকারের কিছু উন্নয়নের কর্মকান্ড ,জঙ্গিবাদ দমন ও সার্বিক তুলে ধরেন । তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন ।