আর কিছুই ঢুকলো না নিশাতের কানে …. স্ট্রেচারে ঢাকা রেশমীর লাশ । দীঘল চুল,টিকালো নাক, আধাবোজা মায়াবী চোখের রেশমি ! চিৎকার করে কেঁদে উঠলো নিশাত !
একেই বোধয় নিয়তি বলে । একেই বোধয় বলে সহমরণ ! একসাথে চিতায় উঠলো লক্ষণ আর রেশমি ! ওই চিতার আগুন যখন জ্বলছে নিশাত তখন নিজের ঘরে তুমুল ব্যস্ত সূর্যের কান্না থামাতে । হ্যা,বাচ্চাটার নাম দেয়া হলো অমিত চৌধুরী সূর্য । শেষের কবিতার নায়ক অমিত, নিশাতের সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস শেষের কবিতার অমিত! খুব যত্ন করে ওর প্রথম কাটা চুল একটা সাদা খামে রাখলেন নিশাত ।সূর্য বড় হবার সাথে সাথে সেই বাক্সে ঠাঁই হলো ওর প্রথম টুপি মোজা আর রেশমীর কানের দুল ও নাকের ফুলের । নিশাতের ইচ্ছে , সূর্যের বিয়ের দিন সকাল বেলা ওর হাতে সব তুলে দেবেন ।
ম্যাডাম, সূর্যের বড় হওয়ার ব্যপারে যদি কিছু বলতেন…. প্রশ্ন আসলো …
ক্লান্ত নিশাত থামলেন একটু। পানি খাওয়া দরকার। তৃষ্ণায় বুকটা ফেটে যাচ্ছে…
ও হ্যাঁ, ওর বেড়ে ওঠা! সিলেট থেকে আমরা চলে যাই ঢাকায়, সূর্যের বয়স তখন ৬ মাস। ওকে প্রথম প্রথম একটু আড়ষ্ট হয়ে আদর করতেন আনোয়ার। একটা সময় ও যখন হামাগুড়ি দিয়ে সারা বাড়ি ঘুরা শুরু করলো, খিলখিল হাসির জাদুতে সবাইকে কাছে টানতে শুরু করলো, আনোয়ার চৌধুরীও আর আড়ষ্ট থাকতে পারলেন না। তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা বাবা স্বত্তাটা একেবারে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনলো সূর্য। সে কি খেলা দুজনের, নিশাত দেখতো আর মনে মনে বলতো – রেশমী-লক্ষণ কে বুঝি পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন স্রষ্টা আনোয়ার নিশাত দম্পতিকে বাবা মা বানানোর জন্য!
সূর্য বড় হতে থাকে ওদের ভালোবাসায়। স্কুল কলেজ.. দেখতে দেখতে ছেলেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখে। দেশের নামকরা একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ালিফাই করলেও নিশাত তাকে ঐখানে যেতে দেয় না। কারণ ওটা আরেক শহরে। সূর্যকে চোখের আড়াল করে যে একটা দিন ও পার করা সম্ভব না ! ছেলেটাও খুশিমনে মেনে নেয় ওদের সিদ্ধান্ত। ভর্তি হয় একটা নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে।
একদিন হঠাৎ নিশাতকে একটা প্রশ্ন করে বসে সূর্য। যে প্রশ্নটা ছোটবেলায় একবার করেছিলো ও।
– মা, আমার মুসলমানি করাও নাই কেন?
সেবার বন্ধুর মুসলমানির দাওয়াতে গিয়ে বাচ্চা বয়সী সূর্য এই প্রশ্ন করেছিলো।
– আহা! তুমি ব্যাথা পাবে তো, তাই বাবা! বলে কাটিয়ে গিয়েছিলেন নিশাত।
আজ সদ্য কৈশোর পেরুনো সূর্যের এই প্রশ্নে হতভম্ব হয়ে গেলেন নিশাত। ওকে কি বলে দেয়া উচিত যে ওর বাবা মা মুসলিম ধর্মাবলম্বী না? সেই সূত্রে ও আসলে অমুসলিম? এই কথাটা কোনো না কোনো একদিন কোনোভাবে ওকে জানানো দরকার। আনোয়ার নিশাত এটা নিয়ে বার কয়েক ঝগড়াও করেছেন। কখন কিভাবে বলবেন! ওর রি একশন কি হবে!
ধর্মটা ওর উপরে চাপিয়ে দিতে চান নি এই দম্পতি। তাই মোটামুটি সব ধর্মের বেসিক শিক্ষাই দিয়েছেন। কিন্তু সূর্যের তো একসময় বিয়ের প্রশ্ন আসবে, তখন কি হবে?
– মা ! আমাকে ক্যানো মুসলমানি করাও নাই? বলো না কেনো?
– তোমার মুসলমানি করাই নাই কারণ তোমার ছোটবেলা থেকে হিমোগ্লোবিন লো ছিলো। তোমার বাবা ভয় পেতেন, তাই।
– মা, বাংলাদেশের মিলিয়ন মিলিয়ন বাচ্চার মুসলমানি হয়, অপুষ্ট, গ্রামগঞ্জের, রাস্তার পাশের বাচ্চাদের ও হয়! তুমি এটা কি বললে??
– যাও, ক্লিনিকে গিয়ে করে আসো এখন! হলো তো? এসব কথা আমার সাথে বলতে এসোনা তো! বিরাট মুসলমান হয়ে গেছো দেখছি! রাগে ফেটে পড়লেন নিশাত!
সে রাতে তুমুল ঝগড়া হলো স্বামী স্ত্রীর। নিশাতের কথা, ওকে বলে দাও সব এখনই। আর আনোয়ার চৌধুরীর কথা, মাত্র একটা নতুন শিক্ষাঙ্গনে ঢুকলো, যাক না আর কয়টা দিন!
কিভাবে যেন ক্রমেই একটা দেয়াল উঠতে লাগলো , অদৃশ্য দেয়াল। সূর্য অসম্ভব স্থির আর শান্ত হয়ে গেলো। নিজের একটা বলয় তৈরি করতে লাগলো আস্তে আস্তে। মাস কয়েক কেটে গেলে নিশাত নিজেকে প্রস্তুত করছিলো, সূর্যকে সবকিছু খুলে বলার।
আচ্ছা, সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যেয়ে বললে কেমন হয়? সূর্যের সামনের সেমিস্টার শেষে নাহয় সিলেটে নিয়ে যাই ওকে? ওর জন্মস্থান? ওখানে নিয়েই নাহয় বলি সব, শান্ত কোলাহলমুক্ত কোনো একটা জায়গায়? সাথে পারিবারিক চিকিৎসক বন্ধু দম্পতি অরুণ – নিরুপমা কেও নিয়ে যাওয়া যায়। জাস্ট ইন কেইস… সূর্য যদি খুব অস্থির কিছু করে বসে! নিরুপমা ভালো কাউন্সেলিং ও জানে, আর সূর্যের সাথে খাতির ও ভালো ওর। বিষয়টা নয় এই সপ্তাহেই আনোয়ার এর সাথে আলাপ করবেন নিশাত। মনস্থির করে ফেললেন। আর না। এভাবে আর চলা যায় না!
আনোয়ার চৌধুরীকে ব্যাপারটা খুলে বলতে উনি খানিক্ষণ চুপ করে থাকলেন। এরপর বললেন, ঠিক আছে তাইলে, কাল অরুণের সাথে একটু কথা বলে আসবো বিষয়টা নিয়ে!
– মা, আমি একটু আবীর এর মেসে যাবো। গাড়ি কই?
– গাড়ি তো তোমার আব্বুকে আনতে গেছে বাবা, অফিস থেকে ফেরার পথে তোমার অরুণ চাচার চেম্বারে যাবে তোমার বাবা। কিন্তু তুমি এই অসময়ে আবীর এর মেসে যাবে ক্যানো? রাত প্রায় আট টা বাজে!
– রাত আট টা ঢাকা তে কোনো রাত? আচ্ছা আমি রিক্সা নিয়ে যাচ্ছি।
– সূর্য, কি দরকার এখন তোমার আবীর এর ওখানে?
– এসাইনমেন্ট আছে মা। রাতে থাকবো। লাগলে আরো দুই তিন রাত লাগতে পারে। সেমিস্টার ফাইনাল, ফেল করলে বিপদ মা!
নিশাত দোটানায় পড়লেন।” না ” বলে সম্পর্কটা আরো খারাপ হয়ে যাবে ওর সাথে। আবার হ্যাঁ বলতেও সাহস হচ্ছে না।
– আচ্ছা যাও, কিন্তু বিরুকে নিয়ে যাও সাথে। তোমার বাবা আসার পথে বিরুকে নিয়ে আসবে আবীরের ঐখান থেকে।
– মা! একটা ১০ বছরের ছেলে আমার বডিগার্ড হিসাবে যাবে? আমি কি মেয়ে মানুষ? তোমরা আমাকে ভাবো টা কি বলো তো! গেলাম আমি। অকারণে ফোন করে বিরক্ত কোরোনা। এসাইনমেন্ট এ থাকবো, ফোন না ও ধরতে পারি। গেলাম।
নিশাত কিছু বললেন না।আবীর অসম্ভব ব্রিলিয়ান্ট ছেলে, অন্য শহরের ছেলে, লেখাপড়ায় অসুবিধা হয় বলে আপন খালার বাসা ছেড়ে মেসে উঠেছে। ওই ছেলের আশে পাশে থাকলে পড়া ছাড়া অন্য কিছু সম্ভব না। নিশাত দুশ্চিন্তা মুক্ত হলেন। আবীরের কাছে থাকলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। গত সেমিস্টারেও আবীর আর সূর্য একই গ্রূপে এসাইনমেন্ট করেছে এবং হাইয়েস্ট মার্ক পেয়েছে।
আনোয়ার চৌধুরী ফিরতেই নিশাত জিজ্ঞাসু চোখে তাকালেন। বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন চৌধুরী সাহেব।
-বুঝলে নিশাত, তোমার বুদ্ধি আসলে অনেক হাই লেভেলের! আমার কথা না , অরুণের কথা।
– ফাজলামো রাখো। যাকে নিয়ে এতো ভাবনা, তাকে এই বাইরে যাওয়ার কথাটা তুমি ই বলো।
– কই, ডেকো সূর্যকে, বলি।
– সূর্য আবীরের মেসে গেছে, ওদের এসাইনমেন্ট আছে।এবার ও সেরার পুরস্কারটা হাতে চায়, তাই প্রেজেন্টেশন বানাবে একসাথে। তুমি শুয়ে পড়, রাত অনেক হলো!
মোবাইলে একটা মেসেজ পেলেন নিশাত, “রিচড সেইফ মা। টেক কেয়ার”। আলো নিভিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়তে গিয়ে হটাৎ চোখ পড়লো আনোয়ার চৈধুরীর দিকে। স্ট্রিট লাইটের আলোয় আধা চোখ বুজে থাকা আনোয়ার চৌধুরীকে হটাৎ করেই খুব জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করলো নিশাতের। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলো, কি ভীমরতি ! আচ্ছা, আমরা মেয়েরা এমন ক্যানো? স্বামীকে একটু জড়িয়ে ধরতেও বুঝি এতো লজ্জা আর এতকিছু চিন্তা করতে হয়! মধ্যবয়স বোধহয় এমনি! নিজেকে নিজের কাছেই অন্যরকম লাগে, নিজের হাহাকারের প্রতিধ্বনি নিজের কাছেই অচেনা মনে হয়। মধ্যবয়সেই তাই মানুষ সাধু সন্যাসী হয় সম্ভবত। এইসব আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতেই ঘুম জড়িয়ে এলো নিশাতের চোখের পাতায়।
সকালে একটু দেরি করেই উঠলো নিশাত। ফ্রেশ লাগছে, ঝরঝরে একটা দিন। আনোয়ার অফিসে চলে গেছেন। বিরুকে ডাকলেন নিশাত, এক কাপ চায়ের জন্য।
বিরুর মা এই বাসার সাহায্যকর্মী। বাপ ফেলে যাওয়া বিরুকে চার বছরের নিয়ে এই বাসায় কাজে আসে রহিমা। গত ছয় বছর ধরে এরা মা ছেলে নিশাতের ছায়াসঙ্গী।
বিরু চা নিয়ে ঢুকলে আলসেমি কাটাতে নিশাত চোখ বুলালেন খবরের কাগজে। সূর্যের একটা খবর নেয়া দরকার। একটা ফোন দিলেন নিশাত… বেশ খানিক খন রিং বেজে বেজে বন্ধ হয়ে গেলো ফোন। ঘড়িতে সময় সকাল পৌনে দশটা। নিশাত ভাবলেন, হয়তো রাত জেগে কাজ করেছে প্রজেক্টের, তাই ঘুমোচ্ছে সূর্য। এই ছেলের এই এক অভ্যাস। সব পড়া শুরু করে রাত ১২ টায় আর শেষ করে ভোর ৬ টায়। এরপর দুপুর পর্যন্ত ঘুম।
বেলা একটার দিকে আরেকটা ফোন দিলেন নিশাত। নাহ, এবারও কেউ ধরছে না ফোন। নিশাত একটু দুশ্চিন্তায় পড়লেন এবার। থেকে থেকে সূর্যের মুখটা ভেসে উঠছে মনে। না জানি ছেলেটা কেমন রিএকশন দেখাবে যখন জানবে নিশাত – আনোয়ার ওর আসল বাবা মা নয়! নিশাত নিজেকে বোঝালো, হয়তো প্রেজেন্টেশন এর জন্য ইউনিভার্সিটি গিয়েছে। গতবার এমন হয়েছিলো। নিশাত ফোন টোন করে অস্থির। পরে জানলো, সূর্য প্রজেক্ট এর ভাইবা দিচ্ছিলো।
এবার তাই একটু রয়ে সয়েই ফোন দেবে ও।
বিকেলে ফোন দিলো সূর্য নিজেই
– মা ভালো আছি তো। এতো চিন্তা করো না।
– চিন্তা করবো না মানে কি? তুমি ফিরবা কখন?
– এইতো মা আরেকটু কাজ বাকি। শেষ হলেই ফিরবো। মা রাখি, খুব ঘুম পাচ্ছে।
– সূর্য, খাওয়া দাওয়া হচ্ছে তো ঠিকমতো? কিছু করে পাঠাবো?
– উফফফ মা, খালি যন্ত্রনা করো। ঘুমাবো একটু, খুব টায়ার্ড লাগছে মা। রাখি।
– আচ্ছা বাবা। ঘুমাও।
নিশাত অলস হাতে টিভির রিমোট টা নিয়ে বসলো। এমন সময় নিরুপমার ফোন। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে দুজনের আলাপ, নানা বিষয়ে। গ্র্যান্ড সুলতান নামে একটা সুন্দর রিসোর্ট নাকি হয়েছে সিলেটে, নিরুপমা আর নিশাত ঠিক করলো, সামনের মাসে ওখানেই যাবে সবাই মিলে।
পরদিন দুপুরে একটা ফোন আসলো নিশাতের কাছে। অপরিচিত একটা কন্ঠস্বর
– নিশাত চৌধুরী বলেছেন?
– জ্বী, আপনি কে?
– আমি উত্তরা থানার ওসি কামরুল হাসান। আপনার বাসায় আমাদের একটু আসা প্রয়োজন। আপনি কোথাও যাবেন না, বাসায় থাকুন প্লিজ।
হন্তদন্ত হয়ে নিশাত আনোয়ার কে ফোন দিলো, এই শোনো, থানা থেকে নাকি বাসায় লোক আসবে। কিছুই তো বললো না, ক্যানো ! আমি তো কিছুই বুঝছি না!
– আচ্ছা দাঁড়াও আমি আসছি বাসায়। আনোয়ার তড়িৎ গতিতে রওয়ানা দিলেন।
নিশাতের কানে কামরুল হাসানের কোনো কথাই ঢুকেছিলো না… এ কি করে হয়! সূর্য ! কবে কিভাবে এতোটা বদলে গেলো … নিশ্চই কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে। আনোয়ার সাহেব বাসায় ঢুকতেই ঝাঁপিয়ে পড়লো নিশাত… এই, এইসব কি বলছেন ওনারা! কোথাও কোনো বড় ঘাপলা আছে!
না, ঘাপলা ছিলো না কোথাও। অথবা ঘাপলা যে কোথায় ছিলো, নিশাত নিজেও কোনোদিন জানবে না !
সেই সিলেটে সূর্য পৌঁছে গিয়েছিলো নিশাতের আগেই, নিশাতকে ফাঁকি দিয়ে। সেই সিলেট, যেখানে এক কনকনে ঠান্ডা দিনে ওকে পৃথিবীতে নিয়ে এসে নিশাতকে মা বানিয়ে দিয়েছিলো রেশমি!
সময়ের আগেই বাক্সটা খুলে খামটা বের করতে হয়েছিলো নিশতকে, সূর্যের প্রথম কাটা চুল থেকে কয়েকটা গোছা নিয়ে ডি এন এ স্যাম্পল মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলো যে জঙ্গি হামলায় বোমা আর আগুনে পুড়ে নিহত পাঁচ জঙ্গীর একজন অমিত চৌধুরী সূর্য !
সাংবাদিক দের তরফে পিন পতন নীরবতার মধ্যে নিশাত বললেন, শনাক্তকরণের জন্য যখন ডি এন এ স্যাম্পল চাওয়া হয়েছিলো, আমি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলাম, এই পৃথিবীতে সূর্যের ডি এন এ মিলবে এমন কাউকে তো আমি চিনিনা!
আমার সূর্যের প্রথম চুল কাটার ছবিটা দেখেন আপনারা! আমার হাতে এই যে … এই সাদা খাম টা। সেদিন বাসায় একটা ছোট উৎসব হয়েছিলো, জানেন? ছেলেটা আমার টাক মাথা হয়ে যাবার পরে, এই লাল টুপিটা পরিয়েছিলাম!
বাক্সটা কোলের উপর থেকে টেবিলে রাখলেন নিশাত।
সাংবাদিক দের ক্যামেরার ফ্ল্যাশ জ্বলতে থাকলো অবিরাম। নিশাত উঠে চলে এলেন ভিতরের বারান্দায়।
বহুদিন আগে, লক্ষণ রেশমির লাশের সৎকারও সিলেটেই হয়েছিলো, চিতার আগুনে।
সূর্যের দেহও সিলেটেই পুড়লো, জঙ্গিবাদের আগুনে!
শেকড়, বড় শক্তিশালী জিনিস… !
প্রথম পর্বটি পড়তে নীচের লিংকে ক্লিক করুন :
ফারিনা মাহমুদ
কলামিস্ট,মেলবোর্ন , অস্ট্রেলিয়া