অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের সংসদের হুইপ এনি স্ট্যানলির সাথে অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী কমিউনিটির ছোট একটি প্রতিনিধিদল গত , ৩ জুলাই সকালে নিউ সাউথ ওয়েলসের হীনচিনব্রোক অফিসে এক সৌজন্যমূলক আলোচনায় বসেন।সিডনী বাঙ্গালী কমুনিউনিটি ইনকের সাধারণ সম্পাদক সেলিমা বেগমের সার্বিক সহযোগীতায় বাংলাদেশ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সভাটি হুইপ এ্যানি স্ট্যানলি এমপির সরকারী অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের নানাবিধ বিষয়।
গত ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ভিক্টোরিয়া রাজ্য থেকে নির্বাচিত অস্ট্রেলিয়ান গ্রীন পার্টির একজন সিনেটর অস্ট্রেলিয়ার সংসদে বাংলাদেশে মানবিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন । সিনেটর তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের নেতিবাচক দিক তুলতে গিয়ে একপেশে কিছু বক্তব্য দেন যেটা নিয়ে অতি উৎসাহী মহল অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে মনগড়া বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফেডারেল সরকারের সংসদের হুইপ এনি স্ট্যানলি জানান, “জন্মলগ্ন থেকেই অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের বন্ধু। বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমাদের অনেক দ্বিপাক্ষিক লেনদেন চলে আসছে এবং বহাল আছে। অস্ট্রেলিয়া গণতন্ত্রে বিশ্বাসী , যে কোন দলের একজন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর তার স্বাধীন মতামত সংসদে প্রকাশ করতেই পারেন ,তাই বলে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচিত লেবার সরকার তো তার উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেনি। বাংলাদেশ কিভাবে তার দেশ পরিচালনা করবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়া অন্য কোন গোষ্ঠী অথবা দেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। অস্ট্রেলিয়ার সরকার অন্য কোনো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিষয়ে নাক গলায় না । তবে অস্ট্রেলিয়ার সরকার অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সব সময় ছিল এবং থাকবে।”
তিনি আরো বলেন ,”বাংলাদেশ সরকার লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে মানবিক দিক বিবেচনা করে এবং বছরের পর বছর তাদেরকে ভরণপোষণ করে আসছে। আমরা সেই জন্য সব সময় বাংলাদেশ সরকারকে প্রশংসা করি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য চেষ্টা করে আসছি। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সরকার ৮.৩ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দেয় সাইক্লোন মোকাতে আক্রান্ত বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মানুষের জন্য। যেমন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের কার্যালয় আছে এবং অস্ট্রেলিয়াতেও বাংলাদেশের হাই কমিশন আছেন। আমার বিশ্বাস অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত করেন আমাদের সরকারকে ,ঠিক যেমনটা করেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার বাংলাদেশ সরকারকে। সুসম্পর্ক আছে বলেই দুই দেশের মিশন ঠিকমতো কাজ করছে। ”
সংক্তিপ্ত আলোচনা বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কিছু স্লাইড তুলে ধরেন ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ সিদ্দিকী। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পবেলটাউন মাল্টিকালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম, সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক আরেফিনা মিতা এবং সিডনি বেঙ্গলিস ডট কমের সম্পাদক আবু তারিক।