১৩ই সেপ্টেম্বর রবিবার বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইনক্ প্রতি বছরের মতো আয়োজন করেন এক বাংলা লোকমেলা ।প্রবাসী নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা, বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাথে পরিচয় করার জন্য লোক মেলা একটি প্রধান মাধ্যম।
সিডনির নীল আকাশে ঝকঝকে রোদ ছিল। আবাহাওার অনুকূল থাকা সত্ত্বে, সিডনি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে আকত্রিত হয়েছিলেন। দুপুরের দিকে লোকসমাগম কিছুটা কম হলেও বিকাল নামার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেড়ে চলে মেলায় উৎসাহীদের আনাগোনা।
প্রথমে একক ভাবে ছড়া আবৃতি করে ঐহিক তারিক ও ঈশান তারিক ।
সবমিলে মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল কাম্পেলটাউন বাংলা স্কুলের ছোট বন্ধুদের পরিবেশনা । এই স্কুলের ছোট বন্ধুরা ছড়া , গান ও নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করে রাখে।
মাগরেব নামাযের বিরতির পরপরই শুরু হয় কিশলয় কচিকাচার ছোট বন্ধুদের সংস্কৃতিক পরিবেশনা। এক রঙের পোশাকে সুসজ্জিত কিশলয় কচিকাচার দলের অসাধারন গান ও নাচের পরিবেশনা মেলায় আগত সবাইকে আনন্দিত, উদ্বেলিত করে তোলে।
সিডনির প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের মধ্যে শাহিন, সুভ্রা,অভিজিত, তামান্না ও রাজিত এর সম্মিলিত Instrumental/ fusion song টি ছিল সত্যি উপভোগ্য।
এছাড়াও আরও গান পরিবেশন করেন আনিস, রোক্সানা, সজীব, ইভানা, মিঠু, লুতফা , ফারিয়া ও নৃত্য পরিবেশন করেন তামান্না।
যেখানে বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন সবাই মিলে পাটি বিছিয়ে গল্প আর আড্ডায় মেতে ওঠে। ছোট ছেলেমেয়েরা ছুটে বেড়ায় মেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত।
লোক মেলাতে নানা রঙের বাহারি সাজসজ্জা পরিলক্ষিত হয়। এখানে বেড়ে ওঠা প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্ম বাসায় ইংরেজিতে কথা বললেও , বাঙালী সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতির টানে পায়জামা-পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি-চুড়ি পড়ে স্বদেশিয় সাজে মেলায় এসেছে। তারা তাদের বন্ধুদের বলছে নিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নিয়ে।
ফুস্কা, চটপটি, সিঙ্গারা, মুগ্লাই পারোটা, শাহী জিলাপি, তান্দুরি, নান ও আনেক ধরনের মুখরোচক খাবার থাকলেও খাবার দোকানের সংখ্যা কম হওয়াতে দোকানগুলোতে ছিল উপচে পরা ভিড়।
কোরবানির ঈদ সামনে তাই কাপড়ের দোকান গুলুতেও ছিল অনেক লোক সমাগম।
রাত নয়টা বাঁজার সাথে সাথে মেলার আয়োজকগণ উপস্থিত সকলকে মেলায় আসার জন্য ধন্যবাদ দেন এবং মেলা আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামি বছরে আরও সুন্দর করার অঙ্গিকার করেন ।