বিশ্বব্যাপী “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” উদযাপনের দায়বদ্ধতা এবং এমএলসি মুভমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’র প্রতিশ্রুতি

বিশ্বব্যাপী “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” উদযাপনের দায়বদ্ধতা এবং এমএলসি মুভমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’র প্রতিশ্রুতি

(ভাষার মাসের বিশেষ প্রবন্ধ)

নির্মল পাল: ভাষা মানুষের ভাবপ্রকাশ এবং পারস্পরিক যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। তাসত্বেও আধুনিক বিশ্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং বিশ্বায়নের দ্রুত অগ্রগতির পাশাপাশি আধুনিক সভ্য পৃথিবী থেকে প্রতি পনের দিনে একটি করে ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। ইউনেস্কোর গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী চলতি শতাব্দীর শেষের দিকে বর্তমানে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক ভাষা হারিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতির পূর্বাভাস রয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির বার্তা সকল ভাষাভাষীর কাছে জানান দেয়া, তথা ভয়াবহতা থেকে উত্তরন পাওয়ার একটি কৌশল হিসেবে  ইউনেস্কো কর্তৃক প্রতি বছর ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের ঘোষণা। মাতৃভাষার চর্চা এবং রক্ষার প্রয়োজনে প্রতিটি দেশ তথা মানুষকে সম্মিলিতভাবে এই জটিলতম অবক্ষয়মান পরিস্থিতি মোকাবেলা করার অনিবার্য প্রয়াসে ইউনেস্কোর ত্রিশতম সাধারণ অধিবেশনে (১৭ই নভেম্বর ’১৯৯৯) সর্বসম্মতিক্রমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তের সাথে সকলের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করে গতিশীল করার প্রয়োজনে ইউনাইটেড ন্যাশান্শের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৮ সনকে “ইয়ার অফ দা মাদার ল্যাংগুয়েজ” হিসেবে পালন করা হয়, এবং ২০১৬ সনের ১৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৭০তম অধিবেশনে ২০১৯কে “ইয়ার অফ দা ইন্ডিজেনিয়াস ল্যাংগুয়েজেস” ঘোষণা করা হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব প্রদানকারী সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্থা কর্তৃক বিশ্বব্যাপী এই সকল উদ্যোগ সদস্যভুক্ত সকল দেশ তথা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি বিপর্যস্ত ভাষাসমূহ রক্ষার প্রয়োজনের তুলনায় কতটুকু প্রভাবিত করছে, অথবা এই সিদ্ধান্তের খবর সাধারণ তথা সংকটমুখী ভাষাভাষীদের কাছে আদৌ পৌছাচ্ছে কিনা এবিষয় নিয়ে প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ মানুষের। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের বাস্তব প্রেক্ষিত বিবেচনায় কার্যকরীভাবে সংশ্লিষ্ট ভাষাভাষীদের সম্পৃক্ততা প্রয়োজনের  তুলনায় কতটুকু পর্যাপ্ত তা  নিয়েও  দ্বিধা-সংশয় সর্বমহলে।

ভাষা মানুষের প্রয়োজনে দীর্ঘ সময়ের সামাজিক চর্চা এবং গবেষণার সমন্বিত প্রয়াসে সৃষ্টি; মানুষের জন্যই ভাষা, মানুষই ভাষার বাহক। সংশ্লিষ্ট ভাষার নিয়মিত চর্চা, তথা ভাষাভাষী ছাড়া কোন ভাষা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। ভাষা অবক্ষয়রোধে  অথবা ভাষা সংরক্ষনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভাষাভাষীর সম্পৃক্ততার কোন বিকল্প নাই। অবলুপ্ত ভাষা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট ভাষাভাষীর ভূমিকা সর্বোৎকৃষ্ট। ভাষা ও সংস্কৃতির শুদ্ধতা বিবেচনায় গবেষণার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট ভাষাভাষীর কোন বিকল্প নেই। বছর বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে ইউনেস্কো বা ইউএন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণের ক্ষেত্রে এই সকল বাস্তব বিষয়াদি আদৌ বিবেচিত হয়েছে বলে ভুক্তভোগী সাধারনের কাছে মনে হয়না। বিশেষ করে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তীতে ২০০৮ কে  সনকে “ইয়ার অফ দা মাদার ল্যাংগুয়েজ” হিসেবে পালন করা এবং ২০১৯ কে “ইয়ার অফ দা ইন্ডিজেনিয়াস ল্যাংগুয়েজেস” ঘোষণার পরও সংশ্লিষ্ট ভাষাভাষীসহ সমাজকর্মী, গবেষক বা পেশাজীবীদের  অংশগ্রহণের হার থেকে এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, বিশিষ্ট গুষ্টি এবং সীমিত গুটিকতক প্রশাসনিক গণ্ডির মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। যেখানে পৃথিবীর ভাষা অবক্ষয়ের ধারা অনেকটা মহামারীর পর্যায়ে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন, “ইয়ার অফ দা মাদার ল্যাংগুয়েজ”, “ইয়ার অফ দা ইন্ডিজেনিয়াস ল্যাংগুয়েজেস” এর মত উপর্যুপরি বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পরেছে, সেখানে সাধারন ভাষাভাষীদের পর্যায়ে এই কার্যক্রম পৌঁছানো না গেলে, সকল ভাষাভাষীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে গৃহীত বা ঘোষিত সকল সিদ্ধান্ত কাগজ-কলম,   ফাইল বা প্রতিষ্ঠানের চার দেয়ালের মধ্যেই থেকে যাবে। ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষার চর্চা বা সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোন বাস্তবভিত্তিক সম্প্রচারের ব্যবস্থা এবং ভুক্তভোগীদের অংশগ্রহণে সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা  গ্রহণে অগ্রগতি সাধিত না হওয়ার কারনে তা উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতার গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকার পর্যায়ের ঝুকিতে রয়ে গেছে।

বিশ্বের প্রতিটি সভ্য মানুষ কোন না কোন একটি ভাষার মাধ্যমে কথা বলে। যে ভাষার ভাষাভাষী যত ক্ষুদ্র, সে ভাষার মানুষের কাছে ভাষা অবক্ষয়ের ভয়াবহ বার্তা তত দ্রুততরভাবে পৌঁছে দেয়া এবং ভাষা অবক্ষয়রোধে বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রমে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের ব্যাবস্থা করা ঝুঁকিপূর্ণ ভাষা সংরক্ষনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারন কোন একটি ভাষার অবলুপ্তি ঘটে গেলে অথবা সংশ্লিষ্ট ভাষার সর্বশেষ ভাষাভাষীর মৃত্যু ঘটলে ভাষার সঠিকভাবে পুন্রুদ্ধার প্রায় অসম্ভব। এই ভয়াবহ বৈশ্বিক পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি প্রতিটি দেশ, জাতি, ভাষাভাষীগুষ্টির সম্মিলিত এবং সমন্বিত বাস্তবভিত্তিক প্রায়োগিক কার্যক্রম। যে কার্যক্রমের ফলে  জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষাসংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলেই একযোগে বৈশ্বিক এই সমস্যা থেকে উত্তরণে একসাথে সকলেরই একক ও আভিন্ন স্বার্থে কাজ করতে পারে। কারন বিজ্ঞান, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বায়নের জোয়ারে প্লাবিত আধুনিক এই বিশ্ব বিনির্মাণে হাজার হাজার বছরের শিক্ষা প্রযুক্তি এবং ক্রমোন্নয়নের ধারার সমন্বয়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। যার মৌলিক ভিত্তি সকল ভাষাভাষীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মেধা, শিক্ষা, প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতার সমন্বিত প্রয়োগ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংরক্ষন।   আর এর সবকিছুর প্রকাশ, প্রচার এবং সংরক্ষণ হয়েছে কোন না কোন একটি ভাষার মাধ্যমে। যা পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী আন্যান্য ভাষায় অনুবাদ প্রকাশিত হয়ে বিশ্ব সমাজের সকল ভাষাভাষীর  কাছেও জ্ঞান, মেধা এবং প্রযুক্তির সমন্বয়তার সুযোগ করে দিয়েছে। বিশ্ববাসী পেয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান এই বিশ্ব। সেকারনেই  যে কোন একটি ভাষার অবক্ষয় সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সভ্য পৃথিবীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি, যা পুনরুদ্ধার অনেকটা অসম্ভব এবং  ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষণার ক্ষেত্রে অন্তরায়ের বিশেষ কারন হয়ে দাঁড়াবে।

মাদার ল্যাংগুয়েজেস কন্সারভেসন (এমএলসি) মুভমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ইনক আন্তর্জাতিক মহলের এই দায়বদ্ধতা থেকে উত্তরণ তথা মানব সভ্যতার মৌলিক মাধ্যম ভাষা সংরক্ষনের কৌশল প্রণয়ন পূর্বক তা বিশ্বব্যাপী  সকল ভাষাভাষীর কাছে পৌঁছে দেয়া সহ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট রূপরেখার পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করে চলেছে। যা ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সর্বস্তরের (স্থানীয়, স্টেট এবং ফেডারেল ) প্রশাসন, এনএসডব্লিও স্টেট লাইব্রেরী, অস্ট্রেলিয়া লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সরকার, লাইব্রেরী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিউট এবং ইউনেস্কোর বিশেষ মনযোগ আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে।  মাতৃভাষা চর্চা এবং সুরক্ষার তাগিদের কৌশল সকল ভাষাভাষীর কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সর্বস্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্ট, এসিটি পার্লামেন্ট,  এনএসডব্লিও  পার্লামেন্টে সর্বসম্মত মোশন পাস করার ব্যবস্থা করা হয়, এবং অন্যান্য সকল ষ্টেটে একই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের জবাবে আশাব্যাঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়। এনএসডব্লিওস্থ ব্লাকটাউন কাউন্সিলে ২০১৭ থেকে, কাম্বারল্যান্ড কাউন্সিলে ২০১৮ এবং ক্যাম্পবেলটাউন কাউন্সিল ২০১৯ থেকে সকল ভাষাভাষীর সমন্বয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যথারীতি পালনের ব্যবস্থা গ্রহন করে আসছে। অধিকিন্তু বিগত ২১শে ফেব্রুয়ারি কাম্বারল্যান্ড কাউন্সিল কাউন্সিলের প্রশাসনিক এলাকার ৮টি লাইব্রেরীর প্রতিটি লাইব্রেরিতে এমএলসি মুভমেন্টের কৌশলের অনুসরণে “একুশে কর্নার” প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীর প্রথম প্রসাশসনিক কাউন্সিলের গৌরব অর্জন করে “একুশে কর্নার” দর্শনের বৈশ্বিক প্রাতষ্ঠানিকতা অর্জনের বাস্তবায়নের ধারার সূচনা করেছে। বাংলাদেশ লাইব্রেরী এসোসিয়েশন এসোসিয়েশনের সাথে নিবন্ধিত ৩,৫০০ টি লাইব্রেরীতে “একুশে কর্নার” স্থাপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিটিউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফর ইউনেস্কো এবং কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে “একুশে কর্নার” প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বোপরি ইউনেস্কো কর্তৃক এমএলসি মুভমেন্টের কার্যক্রমকে নীতিগত ভাবে গ্রহণ করে লিখিতভাবে প্রশংসা করা, ০৭-৭-১৭ তারিখে ৭০ মিনিটের স্কাইপ মিটিং এর  আয়োজন, মিটিং এর সুপারিশ হিসেবে এমএলসি মুভমেন্টকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিটিউটএর সাথে পার্টনারশিপে মাতৃভাষা সংরক্ষণে কাজ করার পরামর্ষ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং অর্থবহ।

স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরে এলএলসি মুভমেন্টের উদ্ভূত কৌশলসমূহ এবং প্রতিশ্রুত কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের গৌরবগাঁথা  সুচনা বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষা সংরক্ষণে গণজাগরণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে  নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অতি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিটিউট, ঢাকা কর্তৃক ২২শে ফেব্রুয়ারি’১৯ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে এমএলসি মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী নির্মল পালকে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এলএলসি মুভমেন্টের উদ্ভাবিত কৌশল এবং  প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নতুন কার্যকরী ধারার সূচনা বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের প্রবীণ ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের সমন্বিত এই আন্তর্জাতিক সেমিনারে সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপক রফিকূল ইসলাম কর্তৃক চেয়ারম্যান এর আসন অলংকরণ, এবং প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ সোহরাব হোসেন এর অধিষ্ঠানে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে শ্রী নির্মল পাল  কর্তৃক এমএলসি মুভমেন্টের কৌশল ও কার্যক্রম উপস্থাপনা দিয়ে সেমিনারের কার্যক্রম শুরু করা বিশেষভাবে অর্থবহ। এই বিরল সম্মানিত সুযোগ এমএলসি মুভমেন্টকে প্রদত্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সিটিটিউটএর সাথে পার্টনারশিপে কাজ করার ইউনেস্কোর পরামর্শ আমলে নিয়ে সংগঠন কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রতিশ্রুতি সমূহ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি মূলক পদক্ষেপ বলে উপস্থিত বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকবৃন্দ মনে করেন। অধিকিন্তু এই সেমিনারের আলোকে ইউনেস্কোর এডুকেশন প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট মিসেস সুন লে’র সাথে শ্রী নির্মল পালের  ইউনেস্কোর বনানিস্থ কার্যালয়ে ২৭/২/১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ২ঘণ্টা ব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠান ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনার দাবী রাখে।

লেখক পরিচিতিঃ                                                          নির্মল পাল;

ইমেইলঃ nirmalpaul@optusnet.com.au

প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপারশনঃ                                            এমএলসি মুভমেন্ট ইনটারন্যাশন্যাল ইনক

প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নকারী দলনেতাঃ              পৃথিবীর প্রথম “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ”

প্রকাশিত গ্রন্থঃ                                                                 “বিশ্বায়নে শহীদ মিনার”

বৈশ্বিক দর্শনঃ                                                                  “লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার”, (স্থানীয় বর্ণমালা সংরক্ষণ কেন্দ্র)