ফজলুল বারী: মোবাইল ফোন সেটে কভিড সেইফ নামের এ্যাপ খুলে এখন নিজেরাই প্রতিদিন করোনা রোগী খুঁজে বেড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। নতুন রোগী কমে আসায় সমুদ্র সৈকত সহ নানাকিছু ধীরে ধীরে খুলে দিলেও সামাজিক দূরত্বের কড়াকড়ি, জরিমানার হার প্রতিদিন বাড়ছে। সবাই সতর্ক। কারন এখনও এ রোগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।
আর বাংলাদেশে যখন প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে রোগী বাড়ছে তখন প্রতিদিন নানাকিছু খুলে দেয়া হচ্ছে! সামাজিক দূরত্ব সহ সংক্রমন নিরাপত্তার বিষয়াদি লোকজন খুব বেশি আগেও মানেনি এখনও খুব কম লোকজন তা মানছে।
কুমিল্লা শহরের একটি বাড়িতে একজন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে কয়েক পাড়ার লোকজন সে বাড়ি ভিড় করে দেখতে এসেছে! এমন দেশের করোনা নিয়ন্ত্রন সত্যি কঠিন।
দেশের গরিব মানুষেরা যে পরিবেশে থাকেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেভাবে থাকেন, যেভাবে কাজে যান-আসেন, তাদের সে নিরাপত্তার কথা বলাটাও নির্দয় শোনাবে। আক্রান্ত আর মৃত্যু ঠেকাতে চাইলে বাংলাদেশের এ ব্যাপারে মনোযোগ বাড়ানো উচিত।
অবশ্য সংক্রমন ঝুঁকির বিষয়গুলোকে শুরু থেকে পরোয়া করছিলোনা দেশের মানুষ। গণপরিবহন বন্ধের সময়ও বেতন-চাকরি রক্ষায় যে দেশের বেপরোয়া লোকজন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেঁটে যারা ঢাকা রওয়ানা হতে পারেন, তাদের নিয়ন্ত্রন অবশ্য সহজ বিষয় নয়।
বিদেশি কার্যাদেশ রক্ষায় বাংলাদেশে এখন অবশ্য গার্মেন্টস কারখানা সহ নানাকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। করোনা টেস্টের সামর্থ্য বাড়ায় এখন আক্রান্ত বেশি দেখা যাচ্ছে। মৃত্যু এখনও কম হচ্ছে!
কিন্তু এই আক্রান্তরা যখন মরতে শুরু করবেন সে সংখ্যাটি ভীতিকর হতে পারে। কারন বাংলাদেশে সুস্থ হবার সংখ্যাটি কম। চিকিৎসা সামর্থ্যও কম। সবাইকে সাবধানতা বাড়াতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ায় জানুয়ারি মাসে প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। আড়াই কোটি মানুষের দেশে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫০ হাজার ২১৪ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। ৬ হাজার ৮২৫ জন আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৫৯ জন। ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। এখন রোগী পাওয়া যাচ্ছে কম। এসব তথ্যেই এ দেশটির চিকিৎসা সামর্থ্য স্পষ্ট হয়।
এই বিপদে আবার পদে পদে জানা গেলো বাংলাদেশের মানুষের নানান দূর্বলতা-অক্ষমতাও। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় শুরুতে স্কুল খোলা রেখেই স্কুল সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়।
যেহেতু এদেশের বেশিরভাগ বাবা-মা কাজ করেন, ১৮ বছরের কম বয়েসিদের বাড়িতে একা রাখা যায়না। তাই শুরুর দিকে স্কুল খোলা থাকলেও স্কুলে যাওয়াটা ছিল ঐচ্ছিক। স্কুলের বাচ্চাদেরও অনলাইনে ক্লাস হচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়েরও।
এ নিয়ে একদিন লিখলে বেশকিছু ছাত্রছাত্রী জানালো, বাংলাদেশে এর প্রতিবন্ধকতা ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরজন্যে অনেক বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস ধরতে খোলা মাঠে গিয়ে বসতে হয়!
ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকদের করোনায় আক্রান্ত হওয়াটা বাংলাদেশে ভীতিকর অবস্থায় গড়িয়েছে। এ নিয়ে অনেকের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে আমাদের ব্যবস্থাপনার ক্রটির বিষয়গুলো সামনে চলে আসে।
অস্ট্রেলিয়ার নানা চাকরির সঙ্গে নানান প্রশিক্ষন বাধ্যতামূলক। এরজন্যে অনেকে এসব কোর্স করে নিজেদের নানা চাকরির জন্যে প্রস্তুত করে রাখেন। যেমন আমাদের অনেক চাকরির জন্যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক চিকিৎসার কোর্স সার্টিফিকেট। এটি আবার প্রতিবছর একদিনের একটি কোর্স করে ফী সহ আপডেট করে রাখতে হয়।
কর্মক্ষেত্রে আপনার একজন সহকর্মী কোন কারনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ট্রিপল জিরোতে ফোন করে আপনি এম্বুলেন্স ডেকেছেন। কিন্তু এম্বুলেন্স আসার আগ পর্যন্ত ওই সহকর্মীকে জরুরি সাপোর্ট দিতে ডাকা হয় এসব প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কর্মীদের।
অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া অফিসগুলোর দেয়ালেও যে সব জরুরি নাম্বার থাকে সেখানে সেই ফ্লোরে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সহকর্মীদের নাম, নাম্বারও থাকে।
এমন নানা কর্মক্ষেত্রের নানা প্রশিক্ষনের মূলমন্ত্রটি হলো আগে নিজেকে নিরাপদ করা পরে অন্যকে নিরাপদ করা। এমন একটি প্রশিক্ষন কোর্সের নাম হোয়াইট কার্ড। এদেশের নানা চাকরিতে এই হোয়াইট কার্ড লাগে।
আর প্রতিটি পাবলিক টয়লেটে তরল সাবানে হাত ধোয়া, পেপার টাওয়াল অথবা যন্ত্রে হাত শুকোনোর পুরনো ব্যবস্থা থাকায় এ যুদ্ধে তা খুব কাজে দিয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা, হোয়াইট কার্ডসহ নানা নিরাপত্তা প্রশিক্ষনওয়ালাদের জন্যে খুব বেশি আলাদা চাকরি নেই অস্ট্রেলিয়ায়ও। বিভিন্ন চাকরিতে এসব প্রশিক্ষনপ্রাপ্তরা গুরুত্ব পান অথবা চাকরি পাবার পর উৎসাহী কর্মীদের এসব প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশের প্রায় চাকরির লোকজনকে এসব আমাদের কাজ নয়, এমন ধারনায় এমন নানান প্রশিক্ষন করানো যাবেনা। সব জায়গায় সবাই লোকবল সংকটের গান গাইতে অভ্যস্ত। প্রায় সবার একজন চা বানান বা ফাইফরমাশেরও আলাদা লোক লাগে।
আর পৃথিবী এখন কম লোকে বেশি কাজ করানোর স্মার্ট লোক বেশি খোঁজে। এসব দেশে আমরা কাজ পেতে বা কাজ ধরে রাখতে যে যেখানে যে প্রশিক্ষন চায় তা আমরা আপডেট করে রাখি। করোনা সময়ের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশও হয়তো ভবিষ্যতে এসব মাথায় রাখবে।
যেমন অস্ট্রেলিয়ায়ও শুরুর দিকে পিপিই, মাস্ক, গগলস, গ্লাবস সহ নানাকিছুর সংকট ছিল। কিন্তু কাজ পেতে কাজ ধরে রাখতে সবাই এগুলো যার যার মতো করে সংগ্রহ করে নিয়েছেন।
সবার মাথায় ছিল কোথাও কোন কারনে যাতে রোগীর কোন সমস্যা না হয়। মূলত চীন পরিস্থিতি সামাল দেবার পর অস্ট্রেলিয়ায়ও এসব নানাকিছুর যোগান স্বাভাবিক হয়ে আসে।
বাংলাদেশে নানানজনের সঙ্গে আলোচনা করে ধারনা হয়েছে শুরুতে মিথ্যাবাদী অথবা অজ্ঞ রোগীর পাশাপাশি, নিম্নমানের পিপিই, মাস্ক, গগলস, গ্লাবস এসবের কারনে ডাক্তার-নার্স-চিকিৎসা কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতারনামূলক নিম্নমানের ঝুঁকিপূর্ন সুরক্ষাকর্মী যারা সরবরাহ করেছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।
আবার এসব সুরক্ষা সামগ্রী পরার-পরানোর ও ব্যবহারের যথাযথ প্রশিক্ষন অনেকের ছিলোনা। এসব যদি প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত একজন আরেকজনকে পরিয়ে দেন তা তুলনামূলক নিরাপদ হয়। সুরক্ষা সামগ্রী যথাযথ ব্যবহার করতে করতে সবার প্রশিক্ষনটাও বাড়ে। বাংলাদেশের যে কোনভাবে তার সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থকর্মীদের সংক্রমন থেকে রক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশের বেআইনি মানুষজনকে সামাল দিতে গিয়ে পুলিশের লোকজন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশের অনেক বেখেয়ালি সদস্য সেই বেআইনি মানুষগুলোর সঙ্গে যথাযথ নিরাপদ দূরত্বও অনুসরন করেননি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি তুলনামূলক বেশি সচেতন ছিলেন।
সুরক্ষা সামগ্রী পরা বা ব্যবহারের যথাযথ প্রশিক্ষনও পুলিশের সব সদস্যের ছিলোনা বা এখনও নেই। অস্বাস্থ্যকর পুলিশ ব্যারাকের পাশাপাশি বিছানায় থাকতে গিয়েও পুলিশের অনেক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় কোথাও একজন কভিড নাইন পজিটিভ রোগী পাবার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমন রোগ বিশেষজ্ঞরা তাঁর কাছে ছুটে গেছেন। গল্প করতে করতে নিশ্চিত হয়েছেন তার সংক্রমন বৃত্তান্ত।
সেভাবে হাসপাতাল বা বাসায় তার চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হয়েছে। নিরাপদ করা হয়েছে তার সংস্পর্শে আসা লোকজন ও সেই এলাকার পরিবেশকে। এর পুরো বিষয়টি সংঘবদ্ধ হওয়ায় এ দেশে রোগীর মৃত্যুহার কম।
আমি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করেছি। কিন্তু বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে এবং সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে আমার ধারনা একটি কমন ধারনা হয়েছে, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সীমারেখার বিষয়টিই বেশি উপেক্ষা করা হয়।
অথবা আমরা সিনিয়ররা জুনিয়র সাংবাদিকদের সেভাবে তৈরি-পরিচালনা করতে পারিনি।
দাবানলের রিপোর্ট করলেও তাদেরকে আগে ব্যক্তি নিরাপত্তার ধারনা অথবা প্রশিক্ষন দেয়া হয়। ওই এলাকায় কাজ করতে সাংবাদিকদেরও পরতে হয় বিশেষ নিরাপত্তা ভেস্ট। সংশ্লিষ্ট এলাকার বুশ ফায়ার অথরিটির নির্দেশনা মেনে সবাইকে কাজ করতে বাধ্য।
অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকতায় আইন শেখানো হয় সবচেয়ে বেশি। একজন সাংবাদিক কী করতে পারেন। কী করতে পারেননা। কতটুকু যেতে পারেন। কতটুকু যেতে পারেননা। কারন কোন মিডিয়াই কাউকে চাকরি দিয়ে মিলিয়ন ডলারের মামলার ঝুঁকিতে জড়াতে রাজি নয়।
বাংলাদেশের সাংবাদিকরা হাসপাতাল সহ নানা জায়গায় যেভাবে ঢুকে যান, প্রাইভেসি আইনের কারনে এটি অনেক দেশেই অকল্পনীয়। এসব স্থানে অবাধে যেতে না দিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জব্দ করতেও রিপোর্ট হয়।
ওই পক্ষগুলো দূর্বল-দুর্নীতিগ্রস্ত থাকে বলে সাংবাদিকদের জমের মতো ভয়ও পায়। আর সাংবাদিককে আইন শিখিয়ে দিলে সে আইনের সীমারেখা মাথায় রেখে কাজ করলে সবাই নিরাপদ থাকে।
বাংলাদেশের সিংহভাগ সাংবাদিক নিজের এবং আরেকজনের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও সেভাবে সচেতন নন বা বিষয়গুলো সেভাবে জানেননা। এরকারনেও এই করোনাকালে পুলিশের মতো সাংবাদিকরাও বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
এই করোনা সময় যদি বাংলাদেশের সাংবাদিকদেরও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ে, সেটিও হবে বড় একটি অর্জন। আগে নিজেকে নিরাপদ করতে পারলে আরেকজনকে নিরাপদ করা যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক আকাশ সীমান্ত হলেও পুরো করোনা সময়ের কখনও গণপরিবহন বন্ধ হয়নি। বাস-ট্রেন সব চলেছে। সীমিত জনসংখ্যার এদেশে এসব গণপরিবহন সামাজিক দূরত্ব কড়াকড়ি মেনে পরিচালনা নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। এদেশের মানুষজনও নিজস্ব কাজ রক্ষায় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা আর আইনের কড়াকড়ি মাথায় রেখে চলাচল করে অভ্যস্ত।
বার-রেষ্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও এদেশে প্রথম থেকে খোলা ছিল সুপার মার্কেট। এগুলোয় ঢোকার সময়েও মানা হয়েছে নানা স্বাস্থ্য সতর্কতা। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মানুষের তাপমাত্রা পরিমাপ করেছে এ্যাপ।
ম্যাক খাবারের ভক্ত জাতি অবশ্য টেইকওয়ে খাবার কেনা থেকে বঞ্চিত হয়নি। কেউ সামাজিক নিরাপত্তার আইনভঙ্গ করলে গুনতে হয়েছে বড় জরিমানা। সামাজিক নিরাপত্তার কড়াকড়ি বজায় রাখা গেলে কিভাবে করোনা বিতাড়ন সম্ভব এর প্রমান অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের সিংহভাগ দোকান মালিকের অস্ট্রেলিয়ার এসব এ্যাপ নিয়ে ধারনা ও সঙ্গতির অভাব রয়েছে। ঈদ শপিং এর সময় সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো মানা হবে এর কোন গ্যারান্টি নেই। এসব মাথায় রেখে বিপদ কিভাবে কমানো যায় তা নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।
এই করোনা যুদ্ধ আমাদের নতুন নানাকিছু শেখালো এবং আরও শেখাচ্ছে। সবচয়ে বড় শিক্ষা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝুঁকিটির নাম স্বাস্থ্য-ঝুঁকি। বড় যুদ্ধ স্বাস্থ্য রক্ষা আর মহামারীর বিপদ এড়িয়ে বাঁচার যুদ্ধ।
এরকারনে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র যার কাছে সেই আমেরিকাই এই যুদ্ধ ঝুঁকির কাছে সবচেয়ে বেশি কাবু অসহায়। এখন পর্যন্ত সেই দেশটিতে আক্রান্ত-মৃত্যুও হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর অন্যতম কারন ট্রাম্পের মতো এক নেতার অহমিকাও। মহামারীর সঙ্গে অহমিকা চলেনা।
অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকা সহ উন্নত বিশ্ব যেখানে জেরবার-অসহায়, সেখানে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষার নিজস্ব পথ বাংলাদেশকেই বের করতে হবে।