ইস্, চোখে সমুদ্রের ঝড়,
একটু থামো তো,
দেখেছিলে কী কখনো?
নদীর জলে ভেসে যাওয়া পানা ফুলের উপর বসে থাকা নীল প্রজাপতি?
এক ঝাপটায় বালু উড়িয়ে স্তুপ করা নিরবধি,
গুণ টেনে টেনে বুকের ছাতি চওড়া করে ফেলা!
দেখেছো কী?পাকা ধানের বিস্তৃত সোনালি ক্ষেতে
শালিকের প্রেম প্রেম উৎসব?
ক্ষেতের আল ধরে কোলা,মেটে,সোনালী ব্যঙেদের রথযাত্রা?
দেখেছো কী?বৈশাখের কালো আকাশ জুরে
মেঘের ছুটোছুটি,
লকলকে নির্বোধ বালিকার শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে দৌড় দেওয়া,
পথমঞ্জুরি, মৌটাল, বেতগোটা,পায়ে জড়িয়ে
মনে করিয়ে দেয় তারা ছলনা জানে না,
তাই বারবার ফিরে আসা,
দেখেছো কী ঝাঁক ঝাঁক সফেদ বকেদের খাল বিল পাহাড়া দেওয়া?
এক পায়ে দাঁড়িয়ে অথৈ জলে ভেসে যাওয়া পানার সাথে কী অদ্ভুত লীলা!
বাঁশ ঝাড়ের সরু পথে চঞ্চল কাঠবিড়ালির উঁকি ঝুঁকি?
বিশাল ফসলের মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে চাঁদের
জোসনা দেখা,
সে আলোয় আঁকা বাঁকা মেঠো পথে পথ চলা,
দেখেছো কী ধানের শীষে বৃষ্টির ফোটা?
ইস্, আজ আর নয় হারানোর ভয়
চোখের আয়তন যাই হোক না কেনো
সমুদ্রের সকল ঢেউ তুলে আনুক
অমূল্য স্মৃতির হাজার রতন।
✍