অনলাইন ডেস্ক: ১৩ অক্টোবর ২০১৫
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে গেছে, যা আমাদের দেশের জন্য সব চেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। গতকাল সোমবার বিকালে অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারা জীবন নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করেছি মানুষের কল্যাণে। অবৈধ পন্থায় কোন সরকারি কাজ থেকে একটি লাল পয়সাও পকেটে পুরেননি। দেশের সব চেয়ে অবহেলার পাত্র এ হাওরাঞ্চল। প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচতে হয় হাওরের মানুষদের। বর্ষায় বড় বড় ঢেউ। পরে শুরু হয় নদী ভাঙন। ঝড়, তুফান ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে বাস করেন তারা। নদীপথে নৌকা ও লঞ্চই একমাত্র ভরসা। ফলে সুবিধা বঞ্চিত রয়েছেন অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষজন। তাই এ হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, এক সময় এ হাওরে মানুষের মৃত্যুর পর কবর দেয়া যেত না। তাই মৃত ব্যক্তিকে পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হত। এখন আর কোন মানুষকে পানির মধ্যে ভাসাতে হয় না। এরই মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে হাওরে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুল, কলেজ, এতিমখানা, রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে এ তিন উপজেলায়।
সাড়ে ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রামবাসীর সারা বছর চলাচলের উপযোগী সড়ক। ফলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে এ অঞ্চলের মানুষের। স্বল্প সময়ে যোগাযোগ করতে পারবেন তারা। বিদ্যুতের দুর্ভোগ দূর করতে নতুন ৩শ’ কিলোমিটার বিদ্যুত্ লাইন স্থাপন করা হবে।
নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্ছু মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবশে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ও অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জেমস।
সমাবেশে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফর উল্লাহ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান।
এর আগে তিনি নিজের নামে ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত ৩৪১ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সেতু’ উদ্বোধন করেন। ফলে অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম, কাস্তুল, বাঙ্গালপাড়া ও দেউঘর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। (সুত্রঃ ইত্তেফাক )