জীবন ফিরে পেয়ে ১৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন দীনেশ চান্দিমাল। পি সারা ওভালে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে দুদফা জীবন পাওয়া সাকিবের অনুপ্রেরণাতেও ছিলেন এই লঙ্কান। সাকিব জানিয়েছেন, চান্দিমালের ইনিংসই তাকে সেঞ্চুরি করার অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সাকিব বলেন, ‘আগের দিন যেহেতু অপরাজিত ছিলাম, তাই রাতে চিন্তা করার অনেক সময়ও ছিল। ওই সময়টাতে আমি চিন্তা করেছি ব্যাটিংটা কিভাবে করলে ভালো হয়। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে চান্দিমাল যেভাবে ব্যাটিং করেছে, ওখান থেকে শেখার ছিল অনেক কিছুই। এই উইকেটে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়, তা বোঝার ক্ষেত্রে চান্ডিমালের ইনিংসটা খুব কাজে দিয়েছে।’
তৃতীয় দিনে সাকিবের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৯ রানের লিড নেওয়ার পিছনেও তার ভূমিকা অনেক। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে শেষ বিকেলে যখন নাইটওয়াচম্যান হয়ে মাঠে নামলেন সাকিব, তার ব্যাটিং ছিল আত্মঘাতী।
পরপর দুটো ক্যাচ ফেলে দিয়ে সাকিবকে উইকেটে ‘বহাল’ রেখেছিল লঙ্কানরা। মুশফিকের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি গড়ার পথে একবার রান আউটের কবলেও পড়তে গিয়েছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে সান্দাকানের বলে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত সাকিবের ইনিংসটি ছিল ঘটনাবহুল। একের পর স্ট্রোক খেলেছেন, ধৈর্য্যের কমতিও ছিল না।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এটা পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে গলে হার, শততম টেস্টে পি সারা ওভালে মাঠে নামা; সবমিলিয়ে না বলতেও চাপ রয়েছে বাংলাদেশের উপর। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব নিজেকে আগলে রাখলেন ঐতিহাসিক টেস্টেও। বল হাতে ছাড়িয়েছেন হেরাথকে। এখন তিনি বাঁ-হাতি স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
তবে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করাটাকেই বেশি এগিয়ে রাখতে চান সাকিব। শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেই নয়, দলের প্রয়োজনে এমন একটি ইনিংস দরকার ছিল বলে ভাবনা তার।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেছেন, ‘এই সেঞ্চুরিটা অবশ্যই বিশেষ। যেকোনো পরিস্থিতিতেই একশ করেন না কেন, আমার কাছে মনে হয় ব্যক্তিগত অর্জনের দিক দিয়ে চিন্তা করলে সেটি বিশেষ কিছুই। এখানে এই ইনিংসটার মর্যাদা আরো বেশি। কারণ এই রানটা আমাদের দরকার ছিল। ভাগ্যক্রমে আমি সেঞ্চুরিটা করতে পেরেছি। সে জন্য আমি খুশি।’ (সূত্র: প্রিয়.কম)