অনলাইন ডেস্কঃ ০২ ডিসেম্বর ২০১৫
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল শুনানিতে দোষ স্বীকার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও নিজামীর শীর্ষ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, নিজামীর পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা দোষ স্বীকার করে শাস্তি কমানোর আবেদন করেছেন। অন্যদিকে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর বক্তব্য বুঝতে ভুল করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে নিজামীর আপিলের শুনানিতে আজ শেষ হয়েছে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনাদের সাবমিশনে আমি যা বুঝেছি, তাতে আমার মনে হলো, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাদের শীর্ষ আইনজীবীরা এই প্রথম তাঁদের অভিযুক্ত একজন নেতা যে অপরাধী, তা তারা স্বীকার করে নিলেন এবং শুধু মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিজামীর শীর্ষ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, নিজামী তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন বলে কোনো সাবমিশন তিনি আদালতে রাখেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, নিজামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ এনেছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এগুলো সব শেখানো সাক্ষী। তারপরও যদি এসব সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিজামীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তাহলে তাঁকে যেন চরম দণ্ড দেওয়া না হয়। বয়স ও ভালো আচরণ বিবেচনা করে যেন তাঁকে চরম দণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু আমি কখনই বলিনি যে নিজামী অপরাধ করেছেন বা দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল আমার বক্তব্য বুঝতে ভুল করেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
নিজামীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পরবর্তী শুনানি ৭ ডিসেম্বর। ওই দিন যুক্তি উপস্থাপন করবে রাষ্ট্রপক্ষ। নিজামীর পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেনের সঙ্গে আইনজীবী ছিলেন শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ( সুত্রঃ প্রথম আলো)