নাইম আবদুল্লাহ,সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) : তোমরা আজ যে ঈশানের কথা শুনবে সে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। সে কী করেছে জানো? এই বয়য়ে বুদ্ধি করে নিজেদের গাছের ফুল দিয়ে মালা গেঁথে বিক্রি করে জীবনের প্রথম উপার্জন করেছে।
তাহলে শোনো কীভাবে ঈশান তারেক কাজটি করলো। বাংলা নববর্ষের উদযাপন দেখেছে টিভিতে। তাই দেখে তার মায়ের বাগান থেকে ফুল তুলে জমিয়ে রাখল ফ্রিজে গত ৫ এপ্রিল থেকে। ফুল গাঁথা শুরু করলো ১০ এপ্রিল। খুব সকালে সিডনির বৈশাখী উৎসব শুরু হয়। মার কাছে থেকে সুঁই আর সুতা নিল আর শিখে নিল মা কীভাবে মালা গাঁথে। সকাল থেকে টানা দুপুর পর্যন্ত সে একে একে ১১টি মালা গেঁথে ফেলল। সবাই তো অবাক। এই কী কাণ্ড ঈশানের? কিন্ত ঈশানের যে কথা সেই কাজ।
তো সেই মালা বাঁশের বাঁশির মধ্যে নিয়ে সে দাঁড়িয়ে পড়ল উৎসবস্থলের এক রাস্তার পাশে। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে মালাগুলি শেষ। বেলি ফুলের মালা, সিডনির মাটিতে ভাবাই যায় না। তার অন্টি গুলা তাকে ৫ ডলার করে দিল। ঈশানের জীবনের প্রথম উপার্জন (৫৫ ডলার)। জীবনের প্রথম উপার্জনে সে কি খুশি ঈশান।
ঈশান তারিকের জন্ম ১২ নভেম্বের ২০০৫। তার বাবা আবু তারিক সিডনি থেকে প্রকাশিত সিডনিবেঙ্গালিজডটকমের সম্পাদক এবং মা সেলিমা বেগম ২০০১ সালে ইমিগ্রেশন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আসেন। ঈশান এই বছর কাসুলা পাবলিক স্কুল এর পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র
ঈশানের শখ ক্রিকেট খেলা ( এই বছর সে ইন্গেলবার্ন আর এস এল ক্লাব আন্ডার ১০ খেলেছে), বাংলা গান করা ও কবিতা পড়া।
দেখলে তো ছোট্ট ঈশান কীভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের হাত খরচ জোগাড় করলো? তোমরাও চেষ্টা করবে কিছু করতে। ( বাংলামেইল২৪ডটকম)