যুদ্ধ না শান্তি চাই এই হউক নববর্ষের অঙ্গীকার

যুদ্ধ না শান্তি চাই এই হউক নববর্ষের অঙ্গীকার

২০১৭ সালে সিডনিতে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার মঙ্গলশোভা যাত্রা (ছবি:সংগৃহিত)

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…’ স্বাগত ১৪২৫। আজ বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।
১৪২৪ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ শনিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হলো নতুন বছর। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যম ও সম্ভাবনার নতুন বছরে পা রাখলো বাঙালি জাতি।

পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে পৃথিবীর বাঙালিরা।

পিছিয়ে নেই আমাদের অস্ট্রেলিয়ার বাঙালিরাও এই উৎসবকে দিনে দিনে উৎসবটিকে একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে নতুন নতুন উৎসবের বিষয় যোগ করছে। গত ৭ এপ্রিল শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে টেম্পি পার্ক বৈশাখী মেলা নামে পরিচিত মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ফেয়ারফিল্ডের শো গ্রাউন্ডে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনির আয়োজন দিয়ে এই বছর বৈশাখী উৎসবের যাত্রা শুরু হল বিরাট আঙ্গিকে। এইতো গত ২০১৭ সালে সিডনির সবচেয়ে বড় মেলাতে মঙ্গলশোভা যাত্রা হয় ব্যাপকভাবে। এর ধারা বজায় রাখতে এই বছর আরও নতুন আইটেম যুক্ত হচ্ছে এই মঙ্গলশোভা যাত্রায়।

এরই ধারাবাহিকতায় এইবছর ১৪ই এপ্রিল লাকেম্বাতে রেলওয়ে প্যারেডে আল্পনায় সাজানো হল এবং লুঙ্গি গামছার ব্যাবহার করার পরিকল্পনা করা হল আজকের নতুন সংযোজন। গত কয়েকদিন আগে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে একটি দলকে নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হো এবং বাঙালিদের প্রাণের উৎসবটিকে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। উপেক্ষায় থাকবো সেই দিনের যেদিন চাইনিজ নিউ ইয়ার যেভাবে সিডনির অপেরা হাইজ সহ সারা অস্ট্রেলিয়াতে পালিত হয় সেই দিনের জন্য।

(ছবি:সংগৃহিত)

আমাদের এই প্রিয় নববর্ষের অঙ্গীকার হউক ‘যুদ্ধ না শান্তি চাই’। অবসান চাই অত্যাচারের, পৃথিবী হয়ে উঠুক রাসায়নিক বোমা, এটম বোমা বিহীন শান্তিপূর্ণ আবাসভূমি।