আবুল কালাম আজাদঃ দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকি। ঈদ-উল-ফিতর মুসলিমদের সর্ববৃহৎ উৎসব।
অস্ট্রেলিয়ার চাঁদ দেখা কমিটির মধ্যে মুনসাইটিং অস্ট্রেলিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় ইমাম কাউন্সিল ঈদ উৎযাপনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী কেউ শুক্রবার ও কেউ শনিবার
ঈদ পালন করেছে। প্রতিবারই কমিউনিটিতে ঈদের চাঁদ দেখা ও ক্যালেন্ডার অনুসারীদের মধ্যে একটা দ্বন্ধ লেগেই থাকে।
অস্ট্রেলিয়া প্রধানত অমুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখানে মুসলমানরা বিপুলভাবে ঈদ পালন করে। যেসব এলাকায় মুসলিম কম তারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় চলে আসে। তেমনি সিডনির ল্যাকান্বার মানুষেরা সকলে মিলে একসাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে বলে তাদের রাস্তাগুলো এ সময় অনেকবেশি কোলাহলপূর্ণ থাকে।
ঈদের নামায পড়ে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং ‘ঈদ মোবারক’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। প্রবাসে ঈদের দিনে বাংলাদেশের পরিবার পরিজনকে ফোন দেয়া, দেখা-সাক্ষাৎ, মজাদার খাবার ও টিভি দেখেই চলে দিনটি। অনেকে যায় কবরস্থানে মৃত ব্যাক্তির কবর যিয়ারত করতে।
এখানেও শিশুরা বড়দের কাছ থেকে ঈদ সালামি পেয়ে থাকে। শিশুরা বেড়াতে ও লেপটপে গেমস নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকে।
এখানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় খেলার মাঠ, মসজিদ, মাসাল্লা, ইসলামিক সেন্টার, কনভেনশন হলে বা কমিউনিটি সেন্টারে। ক্যানবেরা, সিডনি, মেলবোর্ণ, এডেলাইট ও বিজ্রবেনসহ অস্ট্রেলিয়ার সর্বত্র মুসলমানদের ঈদ উৎসব উৎযাপন করে।
এখানে ঈদের আগের দিন থেকেই উৎসব পালিত হয়। ঈদের আগের রাতকে তাকবিরান বলা হয়।মসজিদ ও রাস্তায় তাকবির ধ্বনি উচ্চারিত হয়। ঈদের দিনে যার যার দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রিয় খাবার রান্না করে।