এ বছর অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক গ্রিলার্স চ্যালেঞ্জে সারা বিশ্ব থেকে মাস্টার গ্রিলাররা জড়ো হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে সেরা গ্রিলারের যুদ্ধে নামার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আসছেন এবারের নির্বাচিত ন্যানদোস বাংলাদেশের মাস্টার গ্রিলার কমল বাড়ই। তিনি হারিয়েছেন ন্যানদোস গুলশান ১, বনানী ও ধানমন্ডির তিন গ্রিলারকে।
আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতাটি ন্যানদোসের লাইসেন্স থাকা ২৪টি দেশের সব গ্রিলার্সদের নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিয়মিত হয়। প্রতিবছর ২০ হাজারের থেকেও বেশি আউটলেট থেকে বাছাই করা হয় সেরা গ্রিলারদের। এরপর তাদের মধ্যে থেকে দেশের সেরা গ্রিলার নির্বাচন করা হয়। সবশেষে আন্তর্জাতিক এক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিক করা হয় ন্যানদোসের বর্ষসেরা গ্রিলার কে হবেন।
সম্প্রতি ন্যানদোসের গুলশান ১ শাখায় হয়ে গেল এই আয়োজনের বাংলাদেশ পর্বের প্রতিযোগিতা। এ সময় বিচারক হিসেবে ছিলেন সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার,অভিনেত্রী-উপস্থাপিকা তানিয়া হোসেইন, মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমি, মডেল ইসমত জেরিন চৈতী, আমারি ঢাকার এক্সিকিউটিভ শেফ জেড আর্কডিকন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শ্রী সোয়াদ চৌধুরী এবং শাহীন মোহাম্মদ সামিউল হক, হেড অব বিজনেস, এমআরপিএল।
প্রতিযোগিতার জন্য দীর্ঘ একমাস নানা ধরনের প্রক্রিয়া এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করেন গ্রিলার্সরা। এই প্রক্রিয়া ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ন্যানদোস এবং অনন্য বিচারকরা নির্বাচিত করে সেরাদের সেরা গ্রিলার। প্রতিযোগিতার সময় ন্যানদোসের চার শাখার গ্রিলার্সরা সবচেয়ে সেরা ও খাঁটি পেরি পেরি চিকেন প্রস্তুত করতে রান্না ঘরে মাত্র ১৫ মিনিট সময় কাটান। বিচারক প্যানেল এই প্রতিযোগিতা থেকে সেরা গ্রিলার বাছাই করতে সহযোগিতা করেন।
প্রতিযোগীতায় বিজয়ী গ্রিলার কমল বাড়ই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এবং বিশ্বের সেরা গ্রিলার খোঁজ নেওয়ার যুদ্ধে ‘ওয়ার্ল্ড বেস্ট গ্রিলার’ শিরোপা অর্জনের জন্য লড়বেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে এই ভাগ্যবান বিজয়ী পাবেন আন্তর্জাতিক সম্মাননা।
ন্যানদোস দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক চেইন রেস্টুরেন্ট যেটি বাংলাদেশে পরিচালনা করে এমজিএইচ গ্রুপ। (সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন)