অনলাইন ডেস্ক: ৩০ নভেম্বর ২০১৫
রাজধানী একটি আবাসিক হোটেলে ওমর হায়দার(৩৬) নামে এক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাসনুভাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে ওই প্রবাসীকে পল্টনের রয়েল প্যালেস হোটেল থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার এসঅই মাসুদুর রহমান জানান, দুই বছর আগে তাসনুভার সাথে ওমর হায়দারের বিয়ে হয়। অস্ট্রেলিয়া থাকায় বিয়ের পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা আলাদা ছিলেন। দেশে আসার পর গত ২৫ নভেম্বর ওমর হায়দারের অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ার কথা ছিল। সে উদ্দেশ্যে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন কিছুদিন আগে। পল্টনের রয়েল প্যালেস হোটেলে স্ত্রীসহ ওঠেন। রোবাবর রাত সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্ত্রী তাসনুভা অসুস্থ ওমর হায়দারকে নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে যান। কিন্তুু সেখানে নেয়ার পর চিবিৎসকরা জানান, তাকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হযেছে।
এদিকে মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ওমর হায়দারের স্বজনরা। ওমর হায়দারের ভাই ফারজান হায়দার অভিযোগ করেন, তাসনুভাই তাকে হত্যা করেছে। তাসনুভার সাথে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ছেলের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ওমর হায়দার অস্ট্রেলিয়া থাকা অবস্থায় তাসনুভা প্রায়ই মালয়শিয়া যেতেন। এসব বিষয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে পারিবারিকভাবে তাদের ডিভোর্সের প্রস্তুতি চলছিল। ওমরের অনেক আগেই অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বারবার তিনি ফ্ল্যাইটের তারিখ পরিবর্তন করছিলেন।
ফারজানের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, তাসনুভা চট্টগ্রামের স্যাভরন হাসপাতালের মালিক হারুনুর রশীদের মেয়ে। ওমর হায়দার এবং তাসনুভা উভয়েই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।
এদিকে শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক রাত দেড়টায় বাংলামেইলকে জানান, এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার সকালে মামলা করা হবে। ওমর হায়দারের স্ত্রী তাসনুভা পুলিশ হেফাজতে আছেন বলে জানান তিনি। (সুত্রঃবাংলামেইল২৪ডটকম)