কাজী সুলতানা শিমিঃ অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বাংলা নববর্ষ ১৪২৪। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মান্যবর ইমতিয়াজ হোসেন ও বাংলাদেশ থেকে আগত জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মাননীয়া ইসমত আরা সাদিক ও রাজশাহী আসনের সংসদ সদস্যা এই বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নানা উৎসাহ-উদ্দীপনায় প্রবাসী বাঙালিরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী আমেজ ও আনন্দের কোনো কমতি ছিল না। মান্যবর কাজী ইমতিয়াজ হোসেন উপস্থিত সাবাইকে বর্ষবরণ উৎসবে যোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
শনিবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হয় এর প্রস্তুতি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আয়োজন করায় সিডনীসহ অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রবাসী বাঙ্গালীরা চলে আসেন ক্যানবেরায় এই উৎসবে যোগ দেয়ার জন্য। সকালের দিকে কিছুটা অবসন্ন আকাশ এবং কিছুটা মলিন থাকলেও দুপুরের পর থেকে দিনটি ছিল ঝকঝকে আলোময়। রমণীদের পরনে লাল-সাদা শাড়ি, হাতে কাচের চুড়ি আর চুলে ফুলের মালা। পুরুষদের রঙীন পাঞ্জাবি সাথে নানা দেশীয় পোশাকের সমাহার। ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশা, বয়স নির্বিশেষে সব বাঙলাদেশীরা শামিল হয়েছেন বৈশাখী উৎসবে। বর্ষ বরণ উৎসবে রঙে রঙে সেজে ১৪২৪ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া বসবাস করা বাংলাদেশীরা।
সেদিন হাই কমিশন প্রাঙ্গণে দেশীয় খাবার, শাড়ি ও অন্যান্য জিনিষ পত্র দিয়ে আয়োজন করা হয়েছিলো ছোটখাট মেলার। নানা রকম পিঠা, পান্তা- ভর্তা, ঢাক-ঢোল, নাচ-গান, ব্যানার, ফেস্টুন রং আর উল্লাসের সব আয়োজনই ছিল উৎসবে। হাই কমিশন অফিসের মুল ভবনে আয়োজিত হয় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রথম সেক্রেটারি নাজমা আক্তার ও শামিমা পারভিন। এতে অংশগ্রহণ করে ক্যানবেরা ও সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীরা।
সিডনি থেকে এহসান এন্ড ফ্রেন্ডস ও তার দল এবং ক্যানবেরার অন্যান্য শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। নৃত্য পরিবেশন করে ক্যানবেরা প্রবাসি শিশু শিল্পীরা। প্রবাসের নববর্ষের এই অনুষ্ঠান ক্ষণিকের জন্য হলেও সবাইকে নিয়ে যায় শৈশব-কৈশোরের মধুময় দিনগুলোতে।